লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলা ইছাপুর ইউনিয়নের ইছাপুর আলেখার বাড়ির সাইফুল ইসলাম সুমন ও একই বাড়ির মমতাজ মিয়ার সম্পত্তি বিরোধের জের ধরে সুপারি পাড়তে গিয়ে উভয় পক্ষের সংঘর্ষে ৬ জন আহত হয়।
আহতরা হলেন ফাতেমা আক্তার(২৫), ছকিনা বেগম(৫০), মমতাজ মিয়া(৫৫)ও রেহেনা বেগম (৩০) সাইফুল ইসলাম সুমন (৪০) শান্তা ইসলাম (৩৫) আহতরা বর্তমানের সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
ঘটনাটি ঘটেছে আজ মঙ্গলবার (১০ অক্টোবর) সকাল সাড়ে নয় টায় নয়নপুর গ্রামের মমতাজ মিয়ার সুপারি বাগানে ।
সূত্রে জানা যায়, নয়নপুর সুপারি বাগানটি মমতাজ মিয়া খরিদ সূত্রে মালিক হইয়া দীর্ঘদিন থেকে ভোগদখল করে আসিতেছে । আজ হঠাৎ সাইফুল ইসলাম সুমন লোকজন নিয়ে এসে বাগানে সুপারি পাড়তে শুরু করে এসময় মমতাজ মিয়া ও তার স্ত্রী ছকিনা বেগম এবং মেয়ে ফাতেমা আক্তার এবং পুত্রবধূ রেহানা আক্তার এসে বাঁধা দিলে উভয় পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
ফাতেমা আক্তার জানায়,হামলা চিত্র ভিডিও ধারণ করায় আমার ও রেহানা আক্তার এর হাতে থাকা মোবাইল দুটি সাইফুল ইসলাম সুমন ছিনিয়ে নেয় ।
পরে এলাকাবাসী আহতদের উদ্ধার করে তাদেরকে রামগঞ্জ সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করে ।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মমতাজ মিয়া জানায়, খরিদ সূত্রে আমি এই সম্পদের মালিক হয়ে দীর্ঘদিন থেকে ভোগদখল করে আসতেছি। আজ সকালে হঠাৎ সুমন নিজের দাবি করে সুপারি গুলো লুট করে নিয়ে যাওয়ার সময় আমরা বাঁধা দিলে আমাদেরকে পিটিয়ে আহত করে ।
সাইফুল ইসলাম সুমনের স্ত্রী শান্ত ইসলাম বলেন , আমার ১০ বছরের ছেলে তাহমিদ ইসলাম একটি গাছ থেকে কিছু সুপারি পাড়লে আমাদের প্রতিপক্ষের লোকজন এসে আমাকে এবং আমার ছেলেকে ব্যাপক মারধর করে এ সময় আমার স্বামীর সাইফুল ইসলাম খবর পেয়ে আমাদেরকে উদ্ধার করতে এলে তাকেও পিটিয়ে আহত করে । বিতর্কিত এ সম্পত্তি কিছুদিন আগে সালিশি বৈঠকে আমরা পেয়ে থাকি ।
এই ব্যাপারে রামগঞ্জ থানার আর ওসি মোহাম্মদ এমদাদুল হক বলেন, উক্ত ঘটনার এখোনও থানায় কেউ কোন অভিযোগ করে নাই।অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
No comments:
Post a Comment