রামগঞ্জে প্রতারক আবু নাসের এর বিচারের দাবীতে সাংবাদিক সম্মেলন। - pratidinkhobor24.com

Breaking

Home Top Ad

Post Top Ad




Sunday 8 October 2023

রামগঞ্জে প্রতারক আবু নাসের এর বিচারের দাবীতে সাংবাদিক সম্মেলন।



লক্ষ্মীপুর রামগঞ্জ প্রতিনিধি:
লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে আবু নাসের (৪২)নামে এক প্রতারকের বিরুদ্ধে অসংখ্য  বিয়ে এবং সুকৌশলে ব্যাংক লোনের কথা বলে  চেক ও স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নিয়ে  মিথ্যা  মামলা করে,ভয় ভীতি দেখিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
আবু নাসের রামগঞ্জ উপজেলার ৫নং চন্ডিপুর ইউনিয়নের উত্তর হরিশ্চর গ্রামের পূর্ব বড় বাড়ির মৃত আবদুল মতিনের ছেলে। 
৮ অক্টোবর ২০২৩ইং রবিবার দুপুরে রামগঞ্জ প্রেসক্লাবের এক সংবাদ সম্মেলনে ভোক্তভোগীরা জানান, 
গত (২৬মে)২০২১ সালে ১০লক্ষ টাকা কাবিন করে মারিয়াম সুলতানা নামের আরেক মহিলাকে বিয়ে করেন। মারিয়াম সুলতানা লক্ষ্মীপুর জেলার সদর থানার রোকেয়া ম্যানশনের দেওয়ান বাড়ির আব্দুস সাত্তার এর মেয়ে।মারিয়াম বলেন, আমার বিবাহের কিছু দিন পর আবু নাছের আমার অজানতে  একটি ব্ল্যাংক চেকে স্বাক্ষর  নিয়ে যায়।পরে আলেয়া বেগম নামের আরেক মহিলার সাথে সম্পর্ক স্থাপন করে, তাকে বাদী করে আমার বিরুদ্ধে চেকের মিথ্যা মামলা করেন ঢাকা চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে,যা বাদী নিজেই ভুল বুঝতে পেরে মামরা টি তুলে নেয়। বর্তমানে আমার করা তিনটি মামলা লক্ষ্মীপুর জেলা জজ আদালতে চলমান রয়েছে।আমি প্রশাসনের কাছে এই প্রতারকের সঠিক বিচার চাই। 

ভোক্তভোগী কামরুল ইসলামের বাবা আবু কালাম বলেন, আমার ছেলের সাথে সু-সস্পর্ক করে কিছু দিন পর আবু নাসের ছেলে কামরুলের কাছ থেকে লোন উঠাবে একটি ব্ল্যাংক চেক নিয়ে মামলা করে দেন। বর্তমানে আমার ছেলে বিদেশে,আবু নাসের একজন প্রতারক আমি তার বিচার চাই। 
হাফেজ সুলতানের ছেলে শাহআলম বলেন, আমাদের সাথে একি ধরনের প্রতারনা করেন আবু নাসের আমরা তার সঠিক বিচার চাই প্রশাসনের কাছে।



জানাযায়,গত ০৭-জানুয়ারী২০২১ সালে ৫ লক্ষ টাকা কাবিন করে ঋতু শিকদার নামে এক মহিলাকে বিয়ে করেন,আবদুল মতিনের ছেলে আবু নাসের,ঋতু সিকদার বরিশাল জেলার মেহেন্দিগঞ্জ থানার চর সন্তোষপুর গ্রামের আবদুল করিম শিকদারের মেয়ে, 
ঋতু শিকদার বলেন,আমার পূর্বের স্বামীর সাথে আমার ১৫বছর আগে তালাক হয়ে যায়।পরে আমার এক ছেলেকে নিয়ে আমি ঢাকায় বসবাস করি। আবু নাসের আমাকে বিয়ে করে ব্র্যাক ব্যাংক থেকে কিস্তি উঠাবে বলে,আমার কাছ থেকে একখানামব্ল্যাংক চেকে স্বাক্ষর  নিয়ে যায়।
  ও ৪৫০টাকার খালি স্টাম্প স্বাক্ষর করে নিয়ে যায়।পরবর্তীতে আবু নাসের আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা ৩৫ লক্ষ টাকার এন.আই.১৩৮ ধারায় চেকের মামলা করেন।মামলাটি লক্ষ্মীপুর যুগ্ন-জেলা জজ আদালতে  বিচারাধীন রয়েছে। 

গত (২৫জানুয়ারি)২০২১ সালে কুলসুমা আক্তার প্রকাশ অনামিকা নামে আরেক মহিলাকে বিয়ে করেন আবু নাসের,কুলসুমা আক্তার চাঁদপুর উপজেলা ও চাঁদপুর থানার বিশনদী ব্যাংক কলোনী এলাকার মোস্তফা কামালের মেয়ে। 


 এছাড়া আবুনাছের নাজমা নামের একজন পুলিশ কনস্টেবল কে বিয়ে করে তার বিরুদ্ধে ও মিথ্যা মাললা করে।আবু নাসের এর  বিরুদ্ধে অসংখ্য বিয়ে ও প্রতারনার অভিযোগ রয়েছে বলে জানান ভুক্তভোগীরা।
আবু নাসের এর বিরুদ্ধে বর্তমানে নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইবুনাল আদালতে চারটি মামলা চলমান রয়েছে।
 অভিযুক্ত আবু নাসের জানায়,আমার বিরুদ্ধে আনিত সকল অভিযোগ মিথ্যা ও বানোয়াটে । 

No comments:

Post a Comment

Post Bottom Ad

Pages