নিউজ ডেস্কঃ
লক্ষ্ণীপুর জেলার রামগঞ্জ উপজেলার মধ্য আংগার পাড়া জহির উদ্দিন খলিফা বাড়ির মৃত নুর হোসেনের ছেলে মামুন হোসাইন ও সোহেলের প্রতারনার খপ্পরে পড়ে একাধিক পরিবার নিঃস্ব হয়ে বর্তমানে মানবেতর জীবস যাপন করছে। প্রতারক আদমবেপারি এই দুই ভাই সাধারন মানুষের সাথে প্রতারনা করে ভিবিন্ন কৌশলে ফুসলিয়ে
বিদেশে ভালো বেতনে চাকরি দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে বহু যুবকের কাছ থেকে অর্ধ কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে।
প্রতারণার শিকার উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আ.ক.ম রুহুল আমিনের ভাগিনা মোঃ মাহফুজুর রহমান জানায়,তার কাছ থেকে বিভিন্ন কৌশলে প্রায় ১০ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়। বর্তমানে তারা সৌদিআরবে আত্মগোপনে রয়েছে। টাকার জন্য প্রতারক আদমবেপারি মামুন হোসাইনের বাসায় গেলে তার মা নানা অজুহাত দেখায় উল্টো তাদের মা সবাইকে অকথ্য ভাষায় গালমন্দ করে মারতে আসে এমন কি প্রাণনাশের হুমকিও দেয়।
মাহফুজুর রহমান ছাড়াও এদের প্রতারণার শিকার হয়েছেন মো.ফয়সাল,মো. হারুন, মো.তারেকসহ আরো অনেক।
প্রতারণার শিকার অনেকই অভিযোগ করে বলেন, আদম ব্যবসায়ী মামুন হোসাইন থাকা-খাওয়া ফ্রি ও মাসিক বেতন দেড় থেকে দুই লাখ টাকা এমন প্রলোভন দেখিয়ে সবার কাছ থেকে বিপুল অংকের টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন।
প্রতারক আদমবেপারি মামুন হোসাইন ও তার ভাই সোহেল সৌদি প্রবাসী। মামুন হোসাইন ছুটিতে দেশে আসলে গ্রামের বাড়িতে না এসে ঢাকায় আত্নগোপন থাকে ।
গত কয়েক বছর পূর্বে মামুন এলাকায় আসলে এনিয়ে সালিশি বৈঠক হয় বিচারে সে তার অপরাধের কথা শিকার করে।
কয়েক দিনের মধ্যে প্রত্যেকের টাকা ফেরত দেওয়ার কথা বলে রাতের অন্ধকারে স্ত্রী ও বাচ্চাদের নিয়ে ঢাকায় আত্নগোপন করে এবং সেখান থেকে সৌদিতে চলে যায়। এরপর হইতে সে আত্মগোপনে রয়েছে।
প্রতারক মামুন হোসাইনের ঢাকাস্থ বাসায় কেউ টাকা অথবা বিচারের আশায় গেলে তার পরিবারের লোকজন বলে মামুন হোসাইনের সাথে তাদের কোন সম্পর্ক নেই।
প্রতারনার শিকার মোঃ আবদুল জলিলের ছেলে মোঃ নূরু বলেন যে, আমার ছোট ভাইকে বিদেশ পাঠানোর জন্য প্রতারক মামুন ও তার ভাই সোহেলকে বাংলাদেশী প্রায় ৭ লক্ষ টাকা দিয়ে থাকি, এরপর তাদের ভিসা দেওয়ার জটিলতা দেখে টাকা ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য প্রেশার দেই কিন্তু দুঃখের বিষয় ৫ বছর কেটে গেলো এখনও ৪৫০০০০ এখনো পাইনি। টাকার জন্য প্রতারক মামুনের বাসায় গেলে তার মা নানা অজুহাত দেখিয়ে উল্টো স গালিগালাজ করে।
সাবেক জেলা ছাত্রলীগ নেতা আবু সুফিয়ান জুয়েল বলেন, প্রতারক মামুন হোসাইন ও ভাই সোহেল একজন প্রতারক তাদেরকে দ্রুত বিচারের আওতায় আনা হোক।
আদমবেপারি মামুন হোসাইন ও তার ভাই সোহেলের বিরুদ্ধে নিন্দা জানিয়েছেন, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক উপজেলার চেয়ারম্যান জনাব আ,ক,ম রুহুল আমিন,দরবেশপুরের চেয়ারম্যান জনাব মিজানুর রহমান,পৌর কাউন্সিলর মেহেদী হাসান শুভ,দেলু এসপি, পৌর কূষকলগীগের সভাপতি আবুল ফয়েজ রানা,আহসান হাবিব,এম. কাওছার প্রমূখ।
এই নিয়ে প্রতারক মামুন হোসাইন ও তার মা শাবানা বেগম এবং সোহেলের বিরুদ্ধে লক্ষ্মীপুর সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট
আদালতে মাহফুজুর রহমান বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করা হয়।
No comments:
Post a Comment