লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে অগ্নিকান্ডে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে একটি বসতঘর। ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার দিবাগত রাত ১টায় উপজেলার ৯নং ভোলাকোট ইউনিয়নের সাহারপাড়া গ্রামের তোরাব মিঝি বাড়ির সাবেক মেম্বার মোঃ সিরাজুল ইসলামের বসতঘরে। খবর পেয়ে রামগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট ঘটনাস্থলে উপস্থত আগুন নিয়ন্ত্রনে আনতে স্বক্ষম হয়েছে। বৈদ্যুতিক শর্ট-সার্কিটের মাধ্যমে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে বলে রামগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের ভারপাপ্ত কর্মকর্তা আবদুর রশিদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। অগ্নকান্ডে প্রাথমিকভাবে ১০লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। খবর পেয়ে ২মে (রবিবার) দুপুরে রামগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন অগ্নিদন্ধ পরিবারের জন্য চাল ডাল পেয়াজ রসুন ও মোরগ সহ প্রয়োজনীয় খাদ্য সহায়তা পৌঁছে দিয়েছেন। পরে বিকেলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাপ্তি চাকমা খাদ্য সামগ্রী, কম্বল প্রদান সহ বসতঘর নির্মানের সময় ঢেউটিন দেওয়ার আশ্বাস প্রদান করেন।
সাবেক মেম্বার সিরাজুল ইসলাম ও তার স্ত্রী হাজেরা বেগম জানান, প্রতিদিনের মত আমারা তারাবির নামাজ পড়ে রাত আনুমানিক ১১টায় ঘুমাতে যাওয়ার সময় বসতঘরের পূর্ব উত্তর মাথায় হটাৎ আগুন দেখতে পাই। তাৎক্ষনিক আমরা চিৎকার দিয়ে বাহিরে চলে আসলেও ঘরে থাকা সকল মালামাল মুহুত্বের পুড়ে ছাই হয়ে য়ায়। এসময় তারা আরো বলেন, আমাদের একই বাড়ি রুহুল আমিন ও তার ছেলে মোস্তফা ও মহসিনদের সাথে দীর্ঘদিন থেকে আমাদের সাথে পারিবারিক কলহের জের ধরে তারা এঘটনা ঘটাতে পারে। এছাড়াও ১লা মে শনিবার দুপুরে রুহুল আমিন ও তার ছেলেরা পুকুরের মাছ ভাগবাটোয়ারাকে কেন্দ্র করে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে আমাদের ঘরে আগুন দিয়ে সব জ্বালিয়ে দিবে বলে প্রান নাশের হুমকী প্রদান করেন।
অভিযুক্ত রুহুল আমিন জানান, মাছ ভাগবাটোয়ারা নিয়ে কথাকাটি হয়েছে সত্য। কিন্তু অগ্নিসংযোগের বিষয়ে আমি এবং আমার ছেলেরা কিছু জানেনা।
এব্যাপারে অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন জানান, পুলিশ রাতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। তবে অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
No comments:
Post a Comment