রামগঞ্জে খতনা করাতে গিয়ে পরুষাঙ্গ পুড়ার ঘটনায় চিকিৎসক কারাগারে - pratidinkhobor24.com

Breaking

Home Top Ad

Post Top Ad




Sunday 10 September 2023

রামগঞ্জে খতনা করাতে গিয়ে পরুষাঙ্গ পুড়ার ঘটনায় চিকিৎসক কারাগারে


রামগঞ্জ (লক্ষ্মীপুর) প্রতিনিধিঃ
লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে মাহাদি নামে তিন বছরের এক শিশুকে সুন্নতে খতনা করাতে গিয়ে তার বিশেষ অঙ্গ (পুরুষাঙ্গ) পুড়িয়ে ফেলার ঘটনায় চিকিৎসক ও তার সহযোগীকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।  

রোববার (১০ সেপ্টেম্বর) লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী অঞ্চল আদালতের বিচারক তাহরিনা আক্তার নওরিন চিকিৎসক ডা: সরোয়ার হোসেন ও তার সহকারী আব্দুল্যাহ আল মাহমুদকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। সরোয়ার রামগঞ্জ ইসলামিয়া হাসপাতালের ডিএমএফ চিকিৎসক। ডা: সরোয়ার  উপজেলার রতনপুর এলাকার বাসিন্দা।

রোববার (১০ সেপ্টেম্বর) রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাদি পক্ষের আইনজীবী মো. জাকির হোসেন।

তিনি বলেন, মামলার চার আসামী উচ্চ আদালত থেকে চার সপ্তাহের জামিনে নিয়েছেন। তাদের জামিনের মেয়াদ শেষ হয়েছে রোববার (১০ সেপ্টেম্বর)। এদিন প্রধান আসামী ও ৪ নম্বর আসামী স্থায়ী জামিন আবেদন করেন। আদালত তাদের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। বাকী দুই আসামী আদালতে উপস্থিত হননি।

 সূত্রে জানা গেছে, রামগঞ্জ ইসলামীয়া হাসপাতাল (প্রা.) এর ডিএমএফ চিকিৎসক মো. সরোয়ার হোসেন, হাসপাতালের পরিচালক সাইফুল্লাহ মানিক, রবিউল আলম রিয়াজ ও চিকিৎসকের সহযোগী আবদুল্যাহ আল মাহমুদের বিরুদ্ধে গত ৩১ জুলাই আদালতে মামলা করেন ভুক্তভোগী শিশুর নানা আনোয়ার হোসেন। পরে মামলাটি রামগঞ্জ থানাকে এফআইআর ভূক্ত করার নির্দেশনা দিয়েছেন আদালত।

এজাহারে বাদি উল্লেখ করেন, তার নাতি মাহাদিরকে সুন্নতে খতনা করানোর জন্য গত ৩১ মে দুপুরে ইসলামীয়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে ডিএমএফ চিকিৎসক মো. সরোয়ার হোসেন ও তার সহযোগীরা লেজার মেশিনের মাধ্যমে মাহাদির খৎনার জন্য অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যায়। কিছুক্ষণ পর নাতির আত্মচিৎকার শোনা যায়। তারা অপারেশন থিয়েটারে গিয়ে দেখল মাহাদির পুরুষাঙ্গ পুড়ে কয়লা হয়ে গেছে। পরে অন্য হাসাপাতালে তাকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

No comments:

Post a Comment

Post Bottom Ad

Pages