মোঃ রাজু হোসেন, রামগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ চন্ডিপুর ইউনিয়নের পূর্ব মাছিমপুর মন্দার বাড়িতে, চাচা মাসুদ, মিজান, কামাল ও আবদুলের ভয়ে, মোঃ তাজুল ইসলামের ছেলে মামলার বাদী মোঃ আল আমিন পলাতক এবং তার স্ত্রী জান্নাতুল ফেরদাউস এবং দুই বোন সুলতানা ও রাবেয়া জিম্মি অবস্থায় গৃহবন্দী হয়ে আছে বলে জানিয়েছেন আল আমিন।
ঘটনা সূত্রে জানা যায়, ২ জুলাই রবিবার আল আমিনের মায়ের সম্পত্তি নিয়ে তার বাবা তাজুল ইসলামের সাথে কথা কাঁটাকাঁটি হয়। এক পর্যায়ে সেখানে চাচা মাসুদ, মিজান, কামাল ও আবদুল বিষয়টি মিমাংসা দিতে গিয়ে, উত্তোজিত হয়ে আল আমিন, তার স্ত্রী জান্নাতুল ফেরদাউস, বোন সুলতানা ও রাবেয়াকে পিটিয়ে জখম করে। তাদের মারামারি থামাতে আসলে ১০ শ্রেনিতে পড়ুয়া শরীফ নামের এক ছাত্রকে মেরে পা ভেঙ্গে দেয় মাসুদ ও মিজান। এই ঘটনায় আল আমিন বাদী হয়ে গত ৩ জুলাই সোমবার রামগঞ্জ থানায় হাজির হয়ে তার চার চাচার নামে মামলা দায়ের করেন।
সরেজমিনে গেলে দেখা যায়, আল আমিনের স্ত্রী ও দুই বোন চাচাদের ভয়ে বাসায় তালায় লাগিয়ে জিম্মি অবস্থা এবং আল আমিন পলাতক অবস্থা রয়েছে।
আজ শনিবার সরজমিনে গেলে আল আমিন, তার স্ত্রী ও দু'বোন জানান, মায়ের সম্পত্তি নিয়ে বাবা তাজুল ইসলামের সাথে আমাদের নিজেদের বিবাদ চলতেছে। সেখানে চাচারা এসে মিমাংসা না করে উল্টো আমাদের মেরে আহত করছে। সুলতানার স্বামী হাছানের বিদেশ যাওয়াকে বন্ধ করে দিবে বলে হুমকি দিচ্ছে চাচা মাসুদ। আমাদেরকে আবারো মারার জন্য পায়তারা করতেছে তারা। তাই আমরা তালা ঝুলিয়ে বাসায় অবস্থান করতেছি। আমরা থানায় মামলা দায়ের করেছি। আমরা প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করি।
অভিযুক্ত মাসুদ জানান, যে পর্যন্ত আমার ভাইয়ের সম্পত্তি বুঝিয়ে না দিবে, যে পর্যন্ত আল আমিন আমার ভাইয়ের পায়ের উপরে না পড়বে, সেই পর্যন্ত আমি তাদেরকে শান্তিতে থাকতে দিবো না। সুলতানার স্বামীর বিদেশ যাওয়ার বিষয়টি আমি বন্ধ করে দিয়েছি। আমি ট্রাভেলসে না করে দিয়েছি। তার স্বামীর বিদেশ যাওয়ার টাকা দিয়েই তাদের সাথে মামলা করে লড়ে যাবো।
রামগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ এমদাদুল হক জানান, এই বিষয়ে রামগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
No comments:
Post a Comment