রামগঞ্জ(লক্ষ্মীপুর) প্রতিনিধিঃ
রামগঞ্জ স্টেশন মডেল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পরীক্ষিত বনিকের স্কুল শিক্ষার্থীদের নিয়ে কোচিং বানিজ্যের বিরুদ্ধে জেলা শিক্ষা অফিসারের নিকট লিখিত অভিযোগ হয়েছে। ২৮ আগষ্ট বিদ্যালয়ের এসএমসি কমিটির অভিভাবক সদস্য রূপা বনিকের দেওয়া অভিযোগটি বর্তমানে উপজেলা শিক্ষা অফিসার কর্তৃক তদন্ত চলমান রয়েছে।
অভিযোগ,অভিভাবক ও বিদ্যালয় সূত্রে জানান যায়, শিক্ষক পরীক্ষিত বনিক ২০১৮ সালে অত্র প্রতিষ্ঠানে যোগদান করেন। তিনি যোগদানের পর থেকে বিভিন্নভাবে প্রভাব বিস্তার করে শিক্ষকদের মাঝে গ্রুপিং এবং স্কুল সংলগ্ন ভবনে কোচিং সেন্টার গড়ে তুলেন। শিক্ষার্থীদেরকে নানা প্রলোভন ও পরিক্ষায় কম নম্বরের ভয় দেখিয়ে কৌশলে চালিয়ে যাচ্ছেন প্রাইভেট ও কোচিং বানিজ্য। স্কুলের বাহিরে আলাদাভাবে কোচিং সেন্টার থেকে ৫ম শ্রেনীর শিক্ষার্থীদের বিদায় অনুষ্ঠানও করে থাকেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন অভিভাবক বলেন, পরীক্ষিত বনিক স্যারের কাছে প্রাইভেট না পড়লে ফেল করে দেন। ক্লাশে ওই শিক্ষার্থীদেরকে অবহেলার দৃষ্টিকোন থেকে দেখেন৷তাই শিক্ষার্থীরা তাঁর কাছে কোচিং সেন্টারে বা প্রাইভেট পড়তে বাধ্য। তিনি সকাল বিকাল কোচিং ও প্রাইভেট নিয়েই ব্যস্ত থাকেন৷ এত পরিশ্রমের পরে ক্লাশে মনোযোগ দিতে পারছেন না।
অভিযুক্ত শিক্ষক পরীক্ষিত বনিক জানান, আমার পাশের রুমে জাহাঙ্গীর স্যার,স্কুলের ভিতর শেখ জাহাঙ্গীর আলম,মিজান স্যারসহ সবাই যার যার মতে প্রাইভেট পড়ান। কিন্তু আমার বিরুদ্ধে কে বা কারা হিংসা পরায়ন হয়ে অভিযোগ করেছে। এ সব ষড়যন্ত।
প্রধান শিক্ষক এমরান হোসেন জানান, অভিযোগ হয়েছে সত্য, শিক্ষা অফিসার তদন্ত করছেন। তাই এ ব্যাপারে আমি কিছু বলতে পারবো না।
স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সহ সভাপতি ও কাউন্সিলর রাশেদুল আলম জানান, শিক্ষকরা প্রাইভেট ও কোচিং করায় এটা সত্য। তবে স্কুলে অথবা ক্লাশ টাইমে পড়ান কিনা সেটা আমাদের দেখার বিষয়। শিক্ষক স্কুল টাইমের আগে ও পরে কি করেন সেটাতো আমাদের দেখার বিষয় নয়। পরীক্ষিত বনিকের ব্যাপারে অভিযোগ হয়েছে সেটা জেনেছি।
উপজেলা শিক্ষা অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ আবদুল মোহাইমেন জানান, স্টেশন মডেল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক পরীক্ষিত বনিকের বিরুদ্ধে প্রাইভেট ও কোচিং করানোসহ বিভিন্ন অনিয়মের বিষয়ে জেলা শিক্ষা অফিসার নিকট অভিযোগ হয়েছে। আমি জেলা শিক্ষা অফিসারের নির্দেশক্রমে তদন্ত করছি। শীঘ্রই তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিব।
জেলা শিক্ষা অফিসার মুনছুর আলী জানান, অভিযোগ পেয়েছি। উপজেলা শিক্ষা অফিসারকে তদন্ত করে রিপোর্ট দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে। তদন্ত রিপোর্ট পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
No comments:
Post a Comment