রামগঞ্জ (লক্ষ্মীপুর) প্রতিনিধি ঃ
লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ সরকারী হাসপাতালে কোভিট-১৯ (করোনা) টেষ্টের নামে অতিরিক্ত অর্থ আদায় করা হচ্ছে। এমন সংবাদ পেয়ে ১১ এপ্রিল রোববার সকালে সড়জমিনে হাসপাতাল কমপ্লেক্সে গেলে ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে।
করোনা টেষ্টের বুথের কাজে নিয়োজিত হাসপাতালে কর্মরত সহকারী কম্পিউটার অপারেটর তুহিন ও পরিচন্নতাকর্মী ইউছুফ হাসপাতালে নমুনা সংগ্রহের জন্য আগত রোগীদের নিকট হতে ১শত টাকার স্থলে ২/৩ শত এবং ৫শত টাকা করে আদায় করে ওই দুই কর্মী নিজেদের পকেট ভারী করেছেন। অতিরিক্ত টাকা নেওয়ার সংবাদ হাসপাতালের সর্বত্র ছড়িয়ে পড়লে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। রোববার দুপুরে রামগঞ্জ সরকারী হাসপাতালে ৩০/৪০ জন লোক করোনা টেষ্টের জন্য লাইনে দাড়িয়ে ২ থেকে ৫শত টাকা করে জমা দিচ্ছেন। পরে সবাইকে ১শত টাকার স্লিপ ধরিয়ে দেয় কম্পিউটার অপারেটর তুহিন ও পরিচন্নতা কর্মী মোঃ ইউসুফ।
হাসপাতালে টেষ্ট করাতে আসা রোগী আঃ রহিম ও মোঃ ওসমান, সোনিয়া আক্তার সহ অনেকেই জানান, তুহিন ও ইউসুফ আমাদের কাছ থেকে ৩শত টাকা নিয়ে ১শত টাকার স্লিপ দিয়েছে। বাকী টাকা ওদের খরচের জন্য নিয়েছে। এমন অনিয়মের বিষয়টি জানাতে তাৎক্ষনিক স্বাস্থ্য কর্মকর্তা গুনময় পোদ্দারের রুমে গেলে তাকে আমরা পাইনি।
অতিরিক্ত টাকা আদায়ের বিষয়ে কম্পিউটার অপারেটর মোঃ তুহিন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, মোঃ ইউসুফ এখানে ঠিকাদারের মাধ্যমে চুক্তি ভিত্তিক কাজ করে। তাই তাকে পুষিয়ে দেওয়ার জন্য রোগীদের কাছ থেকে কিছু অতিরিক্ত টাকা আদায় করা হচ্ছে। এটা উর্ধ্বতন স্যারেরা জানে। আপনারা যদি নিষেধ করেন তাহলে এখন থেকে আর নিবো না।
রামগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ গুনময় পৌদ্দার জানান, অতিরিক্ত টাকা নেওয়ার বিষয়ে আমি কিছু জানিনা। তারপরেও আমি বিষয়টি খতিয়ে দেখছি। সত্যতা পেলে আইনানুগ কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
No comments:
Post a Comment