রামগঞ্জ (লক্ষ্মীপুর) প্রতিনিধিঃ লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে অগ্নিকান্ডে ২টি ঘরের আসবাবপত্রসহ সব ভস্মীভূত হয়েছে। এসময় ঘরের ভিতর থাকা মায়া বেগম (৫৫) নামের একজন মানসিক ভারসাম্যহীন মহিলার শরিরের বেশীরভাগ অংশ পুড়ে মৃত্যুবরন করেছেন। রবিবার (১৪মার্চ) ভোর ৪টার দিকে উপজেলার কাঞ্চনপুর ইউনিয়নের পূর্ববিঘা কুতুব উল্যাহ বাড়ির মুফিজ উল্যাহ ও কামালের বসতঘরে অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। রামগঞ্জ ফায়ার সাভির্স এক ঘন্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রনে আসে। খবর পেয়ে স্থানীয় সংসদের প্রতিনিধি ,উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, থানা ভারপাপ্ত কর্মকর্তা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে শুকনো খাবার, কম্বল, নগদ অর্থ দিয়ে সর্বাত্বক সহযোগীতার আশ্বাস দিয়েছেন।
সুত্রে জানাযায়, উপজেলার কাঞ্চনপুর ইউনিয়নের পূর্ববিঘা কুতুব উল্যাহ বাড়ির মুফিজ উল্যাহ ও কামালের পরিবারের লোকজন প্রতিদিনের ন্যায় ঘুমিয়ে পড়ে। রাত ৪টার দিকে তাদের ঘরে আগুন দেখে প্রতিবেশীরা ফায়ার সার্ভিসে খবর দেয়। মুহূর্তেই আগুনের লেলিহান শিখা সর্বত্র ছড়িয়ে পড়লে ওই দুই পরিবারের নগদ টাকাসহ ২টি ঘর, আসবাবপত্র, কাপড়-চোপর আগুনে পুড়ে ছাঁই হয়ে যায়। এতে প্রায় ৫ লক্ষ টাকা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
কাঞ্চনপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নাছির উদ্দিন জানান, নিহত মায়া বেগম মানসিক ভারসাম্যহীন থাকায় তার স্বামী এবং ছেলেরা ঘর থেকে বের করে দিলে তিনি বাবার বাড়িতে ভাই মফিজ এবং মায়ের কাছে আশ্রয় নেয়। রাতে আগুনের লিলিহান দেখে ঘরের সবাই বের হতে পারলেও তিনি ঘরের ভিতরেই পুড়ে মৃত্যুবরন করেন। খবর পেয়ে এমপি মহোদ্বয় নগদ অর্থ সহায়তা দিয়েছেন এবং তিনি সর্বাত্বক সহযোগীতার আশ্বাস দিয়েছেন।
রামগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের ইনচার্জ আবদুর রশিদ জানান, বৈদ্যুতিক সর্ট-সার্কিট থেকে এ আগুনের সূত্রপাত হতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।
রামগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) কার্তিক চন্দ্র বিশ্বাস জানান, লাশের বেশীরভাগ অংশই পুড়িয়ে গেছে । কারো কোন অভিযোগ না নাথায় সবার সম্মতিতে দাপন করা হইয়াছে।
রামগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাপ্তি চাকমা জানান, খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে সরকারের পক্ষ থেকে শুকনো খাবার, কম্বলসহ বিভিন্ন সহযোগীতা দিয়েছি।
No comments:
Post a Comment