রামগঞ্জ (লক্ষ্মীপুর) প্রতিনিধিঃ লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলার ভাটিয়ালপুর ব্যাপারী বাড়িতে পুকুর ঘাটে সিসি ক্যামেরা বসিয়ে মহিলা ও মেয়েদের গোসলের ভিডিও চিত্র ধারন ও সংরক্ষনের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগীরা। আজ রবিবার ০৭ মার্চ ২০২১ ইং দুপুরে রামগঞ্জ প্রেসক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলন করেন ভুক্তভোগী মোহছেনা বেগমের পক্ষে তার স্বামী রফিকুল ইসলাম।
এসময় তিনি উপস্থিতিত সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে এক লিখিত বক্তব্যে জানান, আমাদের বাড়ির ১২৫ শতাংশ একটি পুকুর মাছ চাষের জন্য মাসুদ আলমের নিকট ইজাড়া দেওয়া হয়।
যাহার অংশীদার আমি রফিকুল ইসলাম, আলী আক্কাছ,মনির হোসেন,মাসুদ আলম।
সকলের ঐক্য মতের ভিত্তিতে কুকুরটি ইজারা দেওয়া হয় মাসুদ আলম এর নিকট। সকল অংশীদারদের ইজাড়ার টাকা পরিশোধ করলেও মাসুদ আমার অংশের ইজাড়ার টাকা পরিশোধ করেন নাই এবং আমার সাথে কোন প্রকার চুক্তিপত্র না করিয়া জোর পুর্বক মাছ চাষ করে আসছে। ইজাড়ার টাকা চাইলে নানান তালবাহানা করেন। পরবর্তীতে মাসুদ গত ৮ সেপ্টেম্বর ২০২০ ইং থেকে বিনা অনুমতিতে রাতের অন্ধকারে গোপনে সবার অজ্ঞাতে পুকুরের তিনটি ব্যবহৃত ঘাটের দিকে ফিরাইয়া তিনটি সিসি ক্যামেরা স্থাপন করে। এবং উক্ত সিসি ক্যামেরা গুলো দ্বারা দীর্ঘদিন ধরে আমার স্ত্রী মোহছেনা আক্তারসহ অত্র তিনটি ঘাটে ব্যবহৃত সকল মহিলা ও মেয়েদের গোসলের ভিডিও চিত্র ধারণ করে এবং সংরক্ষণ করে। আমার স্ত্রী বিষয়টি জানতে পেরে ফোনে আমাকে অবহিত করেন। ঢাকা থেকে আমি বাড়িতে এসে মাসুদ আলম কে জিজ্ঞাসা করলে মাসুদ আলম ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে।
তাই আমার স্ত্রী মোহছেনা বেগম এবিষয়ে মোহাম্মদিয়া পুলিশ ফাঁড়ি, চেয়ারম্যান মুজিবুল হক, কালু মেম্বার ও পুকুরের অংশীদারসহ এলাকার গন্যমান্য ব্যাক্তিবর্গকে জানালে মাসুদ আলম তার স্ত্রী রেবেকা সুলতানা(৩৫) এবং তার বোন রৌশনারা (৫০) হুমকি দিয়ে বলেন, তাদের কাছে গোসলের দৃশ্য ভিডিও করা আছে।
আমার স্ত্রী মোহছেনা সহ অন্যান্য ব্যাক্তিগন বাড়াবাড়ি করলে উক্ত ভিডিও ফেইসবুক সহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দিয়ে সবাইকে সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করবে।
বিষয়ে বারবার অনুরোধ করার পর ও তারা কোন কর্নপাত না করায় এবং স্থাপিত ক্যামেরা অপসারন না করায়।
পরবর্তীতে কোন উপায়ান্তর না দেখে আমার স্ত্রী মোহছেনা বেগম গত ৩ ডিসেম্বর ২০২০ ইং স্থানীয় মোহাম্মদীয়া বাজার পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের সহায়তায় উক্ত ক্যামেরাগুলো অপসারন করি।উক্ত ক্যামেরাগুলো এবং ক্যামেরার মেশিনসহ বর্তমানে রামগঞ্জ থানায় রক্ষিত আছে।
এতে ক্ষিপ্ত হয়ে মাসুদ আলম ও তার সহযোগীরা আমাদেরকে প্রতিনিয়ত হুমকি ধামকি দিচ্ছেন। তাই সাংবাদিক ভাইদের মাধ্যমে আমরা এবিষয়টি সবাইকে অবহিত করতে চাই।
No comments:
Post a Comment