মোঃ আব্দুর রাজ্জাক রাজা
নাগরপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি: টাঙ্গাইলের নাগরপুরে গতকাল রাতে চুরির সময় মোটরসাইকেল সহ ১ চোরকে গ্রেফতার করেছে নাগরপুর থানা পুলিশ।
গতকাল রাতে প্রতিদিনের মতই নাগরপুর থানা পুলিশের একটি চৌকস দল এসআই দয়াল, এএসআই মো. আবদুল মজিদ, এএসআই মো. হারুন আর রশিদ, সদর বাজারের বিভিন্ন স্থানে অপরাধের খোজে কর্তব্য পালন করার সময়, সন্দেহ জনক মোটরসাইকেল চালক কে সিগনাল দেয়। চালক মোটরসাইকেল ফেলে পালানোর সময় তাকে আটক করে দলটি। পরে তাকে জিজ্ঞাসাবাদে বের হয়ে আসে চুরির ঘটনা। ইফাদ কোম্পানীর কর্মী উপজেলার সহবতপুর ইউনিয়নের মাইলজানী গ্রামের মো. আজগর আলীর ছেলে মো. ইয়াকুব মিয়ার একটি নীল রংয়ের ১২৫ সিসি, বাজাজ ডিসকভার মোটর সাইকেল, রেজি: নং-টাঙ্গাইল-হ-১৪-৯১৯১ বাজার মসজিদের সামনে থেকে হারিয়ে যায়। পরে ইয়াকুব জানতে পাবে পুলিশ একটি বাইক চোর ধরেছে। সেখানে গিয়ে দেখে বাইকটি তার।
চুরি করে পালানোর সময় নাগরপুর থানা পুলিশের হাতে ধরা পড়ে চোর মাহফুজ রানা ওরফে লিয়ন খান। দেলদুয়ার উপজেলার আলালপুর ইউনিয়নের বাবুপুর গ্রামের মো. আজহারুল ইসলামের ছেলে মাহফুজ রানা ওরফে লিয়ন খান (৩০) গতকাল ২৩ আগস্ট রবিবার রাত আনুমানিক ৮.৩০ মিনিটের সময় উপজেলার সিএনজি শ্রমিক অফিসের সামনে দিয়ে মোটরসাইকেটি নিয়ে যাওয়ার সময় নাগরপুর থানা পুলিশের একটি চৌকস দল তাকে সিগনাল দিলে লিয়ন বাইকটি ফেলে পালানোর চেষ্টা করে। পরে, তাকে থানা পুলিশ ধরে ফেলে এবং জিজ্ঞাসাবাদে সে স্বীকার করে চুরির কথা। সে সে বলে, ৮.৩০ ঘটিকার সময় নাগরপুর বাজার কেন্দ্রিয় জামে মসজিদ রোডে মো: রাশেদুল এর মুদি দোকানের সামনে পাকা রাস্তার পাশ থেকে মোটর সাইকেলটি চুরি করিয়া নিয়া চালাইয়া যাওয়ার সময় পুলিশ সিএনজি শ্রমিক অফিসের সামনে সিগনাল দিলে বাইক রেখে পালানোর সময় পুলিশের হাতে ধরা পড়ে লিয়ন।
পরদিন, লিয়নকে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরন করে থানা পুলিশ। এই চুরির ঘটনায় ইয়াকুব বাদী হয়ে নারপুর থানায় ১২ নং ক্রমিকে একটি মামলা দায়ে করে।
No comments:
Post a Comment