যমুনায় অসময় ভাঙন ,সড়কে পাশে বহু পরিবারের মানবেতর জীবন - pratidinkhobor24.com

Breaking

Home Top Ad

Post Top Ad




Tuesday 11 February 2020

যমুনায় অসময় ভাঙন ,সড়কে পাশে বহু পরিবারের মানবেতর জীবন


মোঃ ইমরান হোসেন (আপন) 
চৌহালী (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি ঃ
  
সিরাজগঞ্জের চৌহালী উপজেলার খাসপুখুরিয়া ইউনিয়নের মিটুয়ানী গ্রাম জুড়ে শুরু হয়েছে অসময়ে যমুনা নদীর ভাঙন। গত ১ সপ্তাহের এ ভাঙনে নিঃস্ব হয়ে পড়েছে শতাধিক পরিবার। তাদের যাওয়ার কোন জায়গা না থাকায় তারা আশ্রয় নিয়েছেন পাশের রেহাইপুখুরিয়া গ্রামের পাকা সড়কের ধারে। স্ত্রী, সন্তান ও গবাদি পশু নিয়ে এসব মানুষ খোলা আকাশের নিচে অথবা টিনের ঝুঁপড়ি ঘরে মানবেতর জীবন যাপন করছেন।
 
চৌহালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দেওয়ান মওদুদ আহাম্মেদ জানান, মিটুয়ানী গ্রামের ভাঙনের বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ও সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডকে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে। আশ্রয়হীনদের দ্রত সময়ের মধ্যে পুনর্বাসনের চেষ্টা চলছে। ব্যবস্থা হলে তাদের ওখান থেকে সরিয়ে নেওয়া হবে।

এদিকে এরই মধ্যে বিলীন হয়ে গেছে এ গ্রামের একটি কবরস্থান, মসজিদ, ২০টি তাঁত ফ্যাক্টরি ও এক কিলোমিটার পাকা সড়ক। প্রশাসন থেকে এ পর্যন্ত তাদের কোন খোঁজ নেওয়া হয়নি। ফলে তাদের দিন কাটছে অর্ধাহারে-অনাহারে। এদের অনেকে এখন মাথা গোঁজার ঠাঁই হারিয়ে পথের ভিখারিতে পরিণত হয়েছেন। সড়কের পাশে টিনের ঝুঁপড়ি ঘরে গাদাগাদি করে ছোট শিশু সন্তান নিয়ে অতিকষ্টে দিন যাপন করায় সেখানে চরম মানবিক বিপর্যয় ঘটছে। শুধু তাই নয়, যমুনা গর্ভে সড়ক বিলীন হওয়ায় স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী ও পথচারীরা বাধ্য হয়ে কারো বাড়ির উঠান অথবা ঘরের বারান্দর ওপর দিয়ে যাতায়াত করছে।

জানা যায়, গত এক মাস ধরে এ গ্রামে নতুন করে ভাঙন তীব্র আকার ধারণ করায় শতাধিক বাড়িঘর, পাকা সড়ক, গাছপালা ও ফসলি জমি দেখতে দেখতে চোখের সামনে বিলীন হয়ে গেছে। ফলে নিঃস্ব এসব পরিবার রেহাইপুখুরিয়া গ্রামের পাকা সড়কে আশ্রয় নিয়েছে। গত ৫ বছরে যমুনা নদীর ভয়াবহ ভাঙনে চৌহালী উপজেলার খাসপুখুরিয়া থেকে বাঘুটিয়া ইউনিয়নেরর ভুতের মোড় পর্যন্ত প্রায় সাড়ে ৫ কিলোমিটার এলাকার সাড়ে ৪ হাজার ঘরবাড়ি, ১৩টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ৩ কিলোমিটার পাকা সড়ক, ৩টি মসজিদ, ২ হাজার বিঘা ফসলি জমি যমুনা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এতে শত শত মানুষ তাদের মাথা গোঁজার ঠাঁই হারিয়েছে। টাঙ্গাইল পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সিরাজুল ইসলাম জানান, আমাদের নগদ অর্থ বরাদ্দ নেই। বরাদ্দ পেতে প্রায় ১ বছর সময় লাগবে। ফলে জরুরি ভিত্তিতে বাকিতে কাজ শুরু করতে চাইলেও কোন ঠিকাদার কাজ করতে রাজি না হওয়ায় কাজটি শুরু করতে একটু দেরি হচ্ছে। আশা করি এ সপ্তাহের মধ্যেই এ ভাঙন রোধে কাজ শুরু হয়ে যাবে।

No comments:

Post a Comment

Post Bottom Ad

Pages