রায়পুর (লক্ষ্মীপুর) প্রতিনিধি:
অফিসের সামনে টাঙানো সিটিজেন চার্টার অনুযায়ী ১১৭০ টাকায় ৩০ দিনের মধ্যে জমির নামজারির কাগজ দেওয়ার কথা। নির্ধারিত সরকারি ফি জমা দিয়ে মাসের পর মাস ঘুরে নামজারির কাগজ পাচ্ছেন না লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলা জনসাধারণ।
এদিকে, রায়পুর উপজেলার সহকারী কমিশনারের (ভূমি) সঙ্গে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি জানান, কোনও কর্মকর্তা কর্মচারীর বিরুদ্ধে নামজারি কিংবা অন্য কোনও কারণে উৎকোচ গ্রহণের অভিযোগ প্রমাণিত হলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কিন্তু বর্তমান প্রেক্ষাপটে ভোগান্তি এড়াতে ইউনিয়ন সহকারী ভূমি কর্মকর্তা কিংবা সহকারী কমিশনার (ভূমি) কার্যালয়ের নাজিরের জয়ের হাতে ১০থেকে ১৫ হাজার টাকা গুঁজে দিলে মিলছে নামজারির কাগজ।গত বৃহস্পতিবার ( ৩০) দুপুরে উপজেলা বিভিন্ন ভূমি অফিস সরেজমিন ঘুরে ভুক্তভোগীদের সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য জানা গেছে।
এদিকে, রায়পুর উপজেলার এ্যসিল্যান্ড অফিসের নাজিরের দায়িত্বে রয়েছে তাছলিমা নামেরএকজন কাজ করছেন জয় নামের একজন তার কাছে জিম্মি পুরো অফিস। ডিসিআর কাটতে ১১৫০ টাকার কথা থাকলেও এলআর ফান্ডের নামে তাকে দিতে হয় ২৮০০/৩০০০ হাজার।
আবার ভূমি অফিসগুলোতে খাজনার রিসিট কাটতে করছে বড় ধরনের অনিয়ম, ২ হাজার টাকা খাজনা হলে রিসিট পায় গ্রাহক ৫০০ টাকার। এ হলো ভূমি অফিসের অবস্থা। এই যেন দেখার কেউ নেই।
তথ্য সূএমতে, সরকার ২০১৮ সালে অনলাইনে নামজারির আবেদনের ব্যবস্থা করে জনদুর্ভোগ কমাতে। এ সংক্রান্ত নিয়ম-নির্দেশনা সংবলিত সিটিজেন চার্টারের সাইনবোর্ড ইউনিয়ন ও উপজেলা ভূমি অফিসের সামনে টাঙানো হয়।
এসব সাইনবোর্ডে উল্লেখ করা হয় নামজারির জন্য আবেদনে কোর্ট ফি ২০ টাকা, নোটিশ জারি ফি ৫০ টাকা, প্রতি কপি মিউটেশন খতিয়ান ফি ১০০ টাকা, রেকর্ড সংশোধন ফি এক হাজার টাকাসহ মোট ১ হাজার ১৭০ টাকা ফি প্রযোজ্য হবে।
এর পাশাপাশি বলা হয়েছে, কোনও আপত্তি না থাকলে ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে এবং প্রবাসীদের ক্ষেত্রে ৯ কার্যদিবসের মধ্যে নামজারি সম্পন্ন হবে। কিন্তু রায়পুর উপজেলার ভূমি অফিস সরেজমিনে পরিদর্শনকালে এর বিপরীত চিত্রই দেখা গেছে।
No comments:
Post a Comment