মোঃ আব্দুর রাজ্জাক রাজা
নাগরপুর(টাংগাইল)প্রতিনিধিঃ টাংগাইলের নাগরপুর উপজেলায় বেপরোয়া গতিতে চলছে অবৈধ ট্রলি-ট্রাক্টর। এতে পথচারী এবং শিক্ষার্থীদের স্কুলে যাতায়াত হয়ে পড়েছে অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। নিষিদ্ধ এসব যানবাহনে বাড়ছে দুর্ঘটনা। আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে এলাকাবাসী। প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না, এমনটাই অভিযোগ স্থানীয়দের।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার সদর,মামুদনগর,গয়হাটা,সহবতপুর, ভাদ্রা সহ সকল ইউনিয়নগুলোতে অবৈধ ট্রলি-ট্রাক্টর বেপরোয়া গতিতে আপন মনে ছুটে চলছে। এসব যানবাহনের গতি দেখলে মনে হবে যুদ্ধ বিমান চলছে। বর্তমানে উপজেলাবাসীর জন্য মূর্তিমান আতঙ্ক হয়ে দেখা দিয়েছে এসব অবৈধ যানবাহন। এসব যানবাহনের অধিকাংশ চালকই অপ্রাপ্ত বয়স্ক। চালকদের নেই ড্রাইভিং লাইসেন্স।
নাগরপুর সরকারী কলেজের একাধিক শিক্ষার্থী জানান, কলেজে আসা-যাওয়ার সময় প্রতিনিয়ত আমাদের আতঙ্কের মধ্যে থাকতে হয়, কখন যেন চাপা দিয়ে চলে যায়। অবিলম্বে এগুলো বন্ধ হওয়া দরকার।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, এসব যানবাহনের নেই কোনো রেজিস্ট্রেশন বা রোড পারমিট। মূলত কৃষি জমি চাষের জন্য ট্রাক্টর আমদানি করা হলেও অসাধু বালু ও ব্রিকফিল্ড ব্যবসায়ীরা ট্রাক্টরের পেছনের অংশ খুলে ফেলে ট্রলি সংযুক্ত করে বালু ও ইট বহনের জন্য ব্যবহার করছে। বেপরোয়া গতির অনুমোদনহীন এসব ট্রলি চাপায় সেনা সদস্যসহ বেশ কিছু মানুষ আহত ও নিহত হয়েছে।
উপজেলার গ্রামীণ সড়কে ট্রলি-ট্রাক্টরের বেপরোয়া চলাচলের কারণে আতংকে আছে পথচারীসহ স্থানীয় বাসিন্দারা। কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত প্রত্যন্ত অঞ্চলের গ্রামীণ সড়কগুলো ক্ষত-বিক্ষত হয়ে খানা-খন্দে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ছে। সর্বত্র পরিবেশ দূষণ ঘটছে, রাস্তার পাশের বাড়ি-ঘর ধুলোয় একাকার, ব্যাহত হচ্ছে জীবন যাত্রা।
সাম্প্রতিক সময়ে প্রশাসনের নজরদারী শিথিল হওয়ার সুযোগে এবং স্থানীয় কতিপয় রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের সহযোগীতায় উপজেলার সর্বত্র চলছে নিষিদ্ধ এসব যানবাহন। যা প্রশ্নবিদ্ধ করছে প্রশাসনের ভূমিকাকে। তবে কি গোপন আঁতাত হয়েছে প্রশাসনের সঙ্গে- প্রশ্ন সাধারণ উপজেলাবাসীর। এ অবস্থায় অবৈধ এসব যানবাহনের বিরুদ্ধে উপজেলা প্রশাসনের জোরালো ভূমিকা প্রত্যাশা করছে সাধারণ জনগণ।
No comments:
Post a Comment