নিউজ ডেস্ক ঃ
অনলাইন ভিত্তিক এসকর্ট সাইট খুলে সুন্দরী তরুণীদের সংগ্রহ করতেন বিতর্কিত এবং আলোচিত যুবমহিলা লীগ নেত্রী শামিমা নূর পাপিয়া। এসব তরুণীদের দিয়ে তিনি পাঁচ তারকা হোটেলে জলসা সাজিয়ে আমোদ-ফুর্তির আয়োজন করতেন। ভিআইপিদের বিশেষ ক্যামেরায় গোপনে ভিডিও করে তা দিয়ে ব্লাকমেইল করতেন বলে রিমান্ডে তথ্য দিচ্ছেন পাপিয়া।
তদন্ত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, রিমান্ডের প্রথম দিনেই পাপিয়া গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছেন। এরমধ্যে সুন্দরী তরুণী দিয়েই তার মূল ব্যবসা ছিল বলে জানিয়েছেন। নরসিংদীসহ বিভিন্ন জেলা শহরের সুন্দরী তরুণীদের চাকরি দেওয়ার নাম করে ঢাকায় নিয়ে আসতেন। বিভিন্ন বয়সের এসব মেয়েদের ক্যাডার বাহিনী দিয়ে ভয়ভীতি দেখিয়ে ইচ্ছার বাইরে বিভিন্ন জলসায় নিয়ে যেতেন। আমোদ-ফুর্তি এবং অনৈতিক কমর্কাণ্ডে বাধ্য করা হতো তাদের। দিনের পর দিন ওয়েস্টিন হোটেলসহ বিভিন্ন পাঁচ তারকা হোটেলে গভীর রাতে আসর বসাতেন। অনৈতিক কর্মকাণ্ড এবং বিদেশি সব দামি ব্রান্ডের মদই ছিল এসব আসরের মূল রসদ।
জিজ্ঞাসাবাদে দাপুটে এ নারী বলেছেন, তার এসব আসর বা জলসার মধ্যমণি থাকতেন সমাজের অনেক ভিআইপি। যাদের মধ্যে রয়েছেন— শিল্পপতি, ব্যবসায়ী এবং উঠতি বয়সী বেশ কিছু অর্থ-বিত্তশালী রাজনীতিক। তাদেরকে এসব জলসায় আমন্ত্রণ জানিয়ে আনা হতো। এরপর অনৈতিক কর্মকাণ্ড গোপনে ভিডিও করতেন। পরে আমন্ত্রিত অতিথিদের ভিডিও দেখিয়ে ব্ল্যাকমেইল এর মাধ্যমে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিতেন। টাকা না দিলে তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখাতেন। শুধু এ দেশীয় নয় বিদেশের বেশকিছু তরুণী আছে, যারা পাপিয়ার রঙ মহলে নিয়মিত থাকতো। এর মধ্যে রাশিয়া এবং থাইল্যান্ড থেকেই আনা হতো বেশি।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এ রকম বেশ কযেকজন তরুণীর নাম বলেছেন পাপিয়া। অন্ধকার জগতের সাথে এদের সংশ্লিষ্টতা পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এছাড়া বেশ কিছু প্রভাবশালীর নামও বলেছেন পাপিয়া।
পাপিয়া গাড়ির ব্যবসা থেকে শুরু করে অনৈতিক কমর্কাণ্ডের মাধ্যমে সমাজের বেশকিছু প্রভাবশালীর ছত্রছায়ায় আসেন। পরে তাদের দিয়েই বাগিয়ে নেন নরসিংদী জেলা যুবমহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদকের পদ। এরপরই অন্ধকার জগতে তার একক আধিপত্য শুরু হয়। এ কাজে তাকে প্রত্যক্ষভাবে সহযোগিতা করেন স্বামী সুমন চৌধুরী।
No comments:
Post a Comment