টাঙ্গাইলের ধনবাড়ীতে ৮ বছরের শিশুকে পিটিয়ে আহত - pratidinkhobor24.com

Breaking

Home Top Ad

Post Top Ad




Thursday 23 January 2020

টাঙ্গাইলের ধনবাড়ীতে ৮ বছরের শিশুকে পিটিয়ে আহত


টাঙ্গাইল জেলা প্রতিনিধি:
টাঙ্গাইলের ধনবাড়ীতে মোবাইল চুরির অপবাদ দিয়ে ৮ বছরের এক হতদরিদ্র শিশুকে লোহার রড় দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করার অভিযোগ উঠেছে। শিশু শিক্ষার্থীকে পিটিয়ে আহত করার ঘটানায় বিচার দাবীতে বুধবার বিকালে এলাকাবাসী স্থানীয় পঞ্চাশী বটতলা বাজারে মানববন্ধন করেছন।


গত সোমবার (২০ জানুয়ারি) রাতে উপজেলার বানিয়াজান ইউনিয়নের পঞ্চাশী বটতলা বাজারে এ ঘটনা ঘটে। আহত শিশু মো. শরিফ হোসেন(৯) উপজেলার বানিয়াজান কামারপাড়া গ্রামের মজিবর রহমানের ছেলে এবং সে স্থানীয় সিরনকাজী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ১ম শ্রেণীর শিশু শিক্ষার্থী। সে বর্তমানে মধুপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এই নির্যাতনের ঘটনায় এলাকায় চাপা ক্ষোভ উত্তেজনা বিরাজ করছে।


অভিযুক্ত সেলিম খান (৩৫) বানিয়াজানের পঞ্চাশী ৬ নং ওয়াড় আওয়ামী লীগ সভাপতি ওয়াদুদ খানের ছেলে। সে পেশায় একজন ব্যবসায়ী। এ ঘটনায় নির্যাতনের শিকার শিশুটির মা মমতা বেগম গত মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) রাতে ধনবাড়ী থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

ভুক্তভোগী শিশুটির বাবা মজিবর রহমান ও স্থানীয় সাইদুর রহমান, আল-আমিন, আ. রহিম, ইসমাইল হোসেন ও নুরুল হকসহ এলাকাবাসীরা জানান, গত সোমবার (২০ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় শরিফ বাজারে বেড়াতে এসে সেলিমের দোকানে যায়। সেলিম শরিফকে দেখে চায়ের দোকান থেকে কয়েক কাপ চা এনে দিতে বলে। তার কথা অনুয়ায়ী শরিফ চা এনে দেয়। কিছুক্ষন দোকানে বসে থাকার পর সেলিম বাহিরে যায়। বাহির থেকে এসে সেলিম বলে আমার মোবাইলটি খুঁজে পাচ্ছি না এ কথা বলেই দোকানে থাকা লোহার রড় দিয়ে বেদমভাবে শরিফকে পিটাতে থাকে। তার ডাকচিৎকারে আশেপাশের দোকানদাররা ও বাজারের স্থানীয় লোকজন এগিয়ে আসলে সে আরো চটে যায় এবং বেদধড়ক মারপিট করতে থাকে। পরে স্থানীরা তাকে উদ্ধার করে একটি দোকানে চিকিৎসা দেয়। তার অবস্থার অবনতি ঘটলে উন্নত চিকিৎসার জন্য ধনবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে তার অবস্থা বেগতিক দেখে মধুপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রেফার্ড করা হয়।বর্তমানে আহত শিশুটি মধুপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

সেলিম খান ঘটনা ঘটানোর পর থেকেই তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে তালা ঝুলিয়ে বন্ধ রেখে পালিয়ে রয়েছে। অভিযুক্ত সেলিম খানের বাবা পঞ্চাশী ৬ নং ওয়াড় আওয়ামী লীগের সভাপতি ওয়াদুদ খান তিনি সমস্ত ঘটনা স্বীকার করেন।

বাজারের স্থানীয় কিছু ব্যবসায়ী নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জানান, সেলিম খান ব্যবসার আদলে ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত রয়েছে এবং স্থানীয় ও আশপাশ এলাকার বখাটেদের কে দিয়ে মাদক বেচা-কেনা করিয়ে থাকে। 

বানিয়াজান ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম তালুকদার ফটিক জানান, মোবাইল চুরির অপবাদ দিয়ে শিশুটিকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করা হয়েছে। এমন ন্যাক্কারজনক ঘটনার জন্য আমি তীব্র নিন্দা এবং সুষ্ঠ বিচারের দাবি জানাই।

ধনবাড়ী থানার ওসি মো. চাঁন মিয়া এ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, আহত শিশুটির মা মমতা বেগম থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন এবং অভিযুক্তকে গ্রেফতারের জোরতৎপরতা চলছে এবং আইন অনুযায়ী দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

No comments:

Post a Comment

Post Bottom Ad

Pages