দৈনিক মানবকন্ঠে সংবাদ প্রকাশের পর রামগঞ্জে খালের বাঁধ অপসারণ - pratidinkhobor24.com

Breaking

Home Top Ad

Post Top Ad




Monday 29 January 2024

দৈনিক মানবকন্ঠে সংবাদ প্রকাশের পর রামগঞ্জে খালের বাঁধ অপসারণ



রামগঞ্জ (লক্ষ্মীপুর)প্রতিনিধিঃ

লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে সরকারি খালে বাঁধ'দেওয়া বিপাকে কিষকরা শিরোনামে জাতীয় দৈনিক মানবকন্ঠের ৯ং পৃষ্ঠা গত ২ জানুয়ারি  সংবাদ প্রকাশিত হয়। প্রকাশিত নিউজ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নজরে আসলে, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন রামগঞ্জ উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) রাছেল ইকবাল। তারই পরিপেক্ষিতে 
 ২৭দিন পর সোমবার সকালে দ্রুত খালের বাঁধ অপসারণ করা হয়েছে। খালের বাঁধ অপসারণের ফলে স্থানীয় কৃষকরা অনেক উপকৃত হয়েছে বলে জানিয়েছেন। 

উপজেলার ভাদুর ইউনিয়নে সুধারাম সরকারি খালের এক কিলোমিটার অংশে তিনটি বাঁধ নির্মাণ করা হয়েছে। বাঁধের কারণে মধ্য ভাদুর, উত্তর গ্রাম, পশ্চিম ভাদুর ও কেথুড়ি গ্রামের তিনশত একর কৃষি জমিতে চাষাবাদ হুমকির মুখে পড়েছে। 


তাই গত ২ জানুয়ারি জাতীয় দৈনিক মানবকন্ঠের ৯ং পৃষ্ঠ " রামগঞ্জে সরকারি খালে বাঁধ'দেওয়া বিপাকে কিষকরা' শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। সংবাদ প্রকাশের ২৭ দিনের মধ্যে (২৯ জানুয়ারি) সোমবার সকাল ১১টায় ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি রাসেল ইকবাল ও লক্ষ্মীপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ নির্বাহী প্রকৌশলী গকুল চন্দ্র পাল সরেজমিনে উপস্থিত হয়ে খালটি অপসারণ করেন।


স্থানীয় কৃষক বিল্লাল হোসেন, সেলিম মিয়া জানান, পত্রিকায় খবর প্রকাশের পর দ্রুত খালের বাঁধ অপসারণ করা হয়। আমরা খুশি যে বাঁধ অপসারণ আমরা অনেক উপকৃত হয়েছি। পানির অভাবে প্রতি বছর কৃষি ব্যাহত হচ্ছে।

স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাবেদ হোসেন বলেন, আমার আমলে খালটিতে কেউ বাঁধ দিতে পারেনি। আগের চেয়ারম্যান থাকাকালীন অবস্থায় হয়েছে। আমি কৃষকদের স্বার্থে এটি অপসারণ করতে চেয়েছিলাম। সেজন্য এটি অপসারণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেছি।

লক্ষ্মীপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-নির্বাহী প্রকৌশলী গকুল চন্দ্র পাল বলেন, পানি উন্নয়ন বোর্ডের সম্পত্তিতে অবৈধ নির্মাণসহ খালের পানি প্রবাহে কোনো বাধা সৃষ্টি হলে আমরা বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখছি। আমাদের উচ্ছেদ অভিযান অব্যাহত থাকবে।

উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রাসেল ইকবাল জানান,  নিউজটি দেখে  পরিদর্শনে গেলাম। এরপর থেকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নির্দেশে খালের বাঁধ অপসারণের উদ্যোগ নেওয়া হয়। এখন ফসলি জমি সুরক্ষিত হয়েছে এবং স্থানীয় কৃষকরা অনেক উপকৃত হয়েছেন। জনদুর্ভোগের খবর প্রকাশ করার জন্য সংবাদকর্মীদের স্বাগতম জানাই।

No comments:

Post a Comment

Post Bottom Ad

Pages