রামগঞ্জ (লক্ষ্মীপুর) প্রতিনিধিঃ
রামগঞ্জ উপজেলার ৯নং ভোলাকোট ইউনিয়নের আওয়ামীলীগের সভাপতি আমিনুল হক টিপুও সাধারণ সম্পাদক বাহার পাঠানের বিরুদ্ধে অর্থের বিনিময়ে ১নং ওয়ার্ড দুধরাজপুর, আকারতমা, নোয়াপাড়া ও ২নং নাগমুদ রাজারামপুর আওয়ামী লীগের নবগঠিত কমিটি দেওয়ার অভিযোগ করেছে পদ বঞ্চিত নেতাকর্মীরা।
শুক্রবার সন্ধ্যা সরজমিনে গেলে ১ ও ২ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের নবগঠিত কমিটিতে মুজিব আদর্শের ত্যাগী পরিলক্ষিত নেতাকর্মীদের প্রত্যাশিত পদ না দিয়ে বিগত দিনে সংগঠন বিরোধী কর্মকান্ডে লিপ্ত ব্যক্তিদের দিয়ে অর্থের বিনিময়ে রাতের আঁধারে কমিটি ঘোষনা করার হয়েছে বলে অভিযোগ করে বলেন, ১নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মোস্তফা চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক মোঃ ইউনুছ, ২নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ ইসকান্দর মজুমদার, প্রচার সম্পাদক মোঃ আলমগীর খলিফা,ইউনিয়ন সেচ্ছাসেবক লীগের আহবায়ক মোঃ ইমাম হোসেন রনি, যুগ্ন আহবায়ক এস এম রাসেদ, ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি ফয়েজ বাবু, ১নং ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি পদপ্রার্থী গোলাম সরোয়ার চৌধুরী, মোঃ নূরু মোল্লা, ২নং ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রায়হান মজুমদার, ২নং ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি পদপ্রার্থী দুলালসহ অনেকেই এই অভিযোগ করেন।
এই সময়ে তারা আরো বলেন, ভোলাকোট ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আমিনুল হক টিপু ও সাধারণ সম্পাদক বাহার পাঠান রাতের আঁধারে টাকার বিনিময়ে এই কমিটি ঘোষনা করেছেন। আমাদের অনেকের কাছে পঞ্চাশ হাজার টাকা করে চেয়েছে সেই টাকা দিতে আমরা রাজি হই নাই। তাই অন্যদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে কমিটি দিয়েছে। আমরা এই কমিটি মানি না। অচিরেই এদের বিরুদ্ধ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের হস্তক্ষেপ কামনা করি।
এব্যাপারে অভিযুক্ত ইউনিয়ন আওয়ামিলীগের সাধারণ সম্পাদক বাহার পাঠান জানান, আমার বিরুদ্ধে আনিত সকল অভিযোগ মিথ্যা ও বানোয়াট। যাদেরকে কমিটি থেকে বাঁধ দেওয়া হয়েছে তারা ১৪ বছর যাবৎ কমিটিতে থেকে কখনও কোন কর্মী বা সমর্থকে এক কাপ চা ও খাওয়ানি।তাদের কাছে আমি কি করে অর্থ দাবী করি।আজ যে আওয়ামীলীগের অফিসে বসে আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছে। তাহাও দীর্ঘ আড়াই বছর আমি ভাড়া দিয়ে আসছি।
No comments:
Post a Comment