রামগঞ্জ(লক্ষীপুর)প্রতিনিধিঃ
লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলার ৬নং লামচর ইউনিয়নের পানপাড়া গ্রামের কাজী বাড়িতে রামগঞ্জ মোহাম্মদীয়া তদন্ত কেন্দ্রে পুলিশের সহায়তায় সশস্ত্র সন্ত্রাসী কায়দায় ১০ শতাংশ সম্পত্তি দখল করে নিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। মোহাম্মদীয়া তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ আলমগীর হোসেন ও এসআই মাহফুজের এমন কর্মকান্ডে এলাকাব্যাপী ব্যপক সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে। সৃষ্ট ঘটনায় ভুক্তভোগী রেখা বেগম বাদী হয়ে রামগঞ্জ থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
সূত্রে জানা যায়, ১০ বছর পূর্বে পানপাড়া গ্রামের কাজী বাড়ির খোরশেদ আলম একই বাড়ির মৃত আমিন উল্যার ছেলে ইসমাইল মাষ্টার থেকে ১০ শতাংশ সম্পত্তি বায়না সুত্রে খরিদ করে বসতঘর নির্মাণ করে বসবাস করে আসছে এবং উক্ত সম্পত্তি গত ১বছর পূর্বে রেজিস্ট্রিও হয়েছে। কিন্তু গত ৯ডিসেম্বর ইসমাইলের ভাই বেলাল হটাৎ জোরপূর্বক পুলিশের সহযোগীতা নিয়ে রেখা বেগমের ক্রয়কৃত সম্পত্তিতে ব্যারিকেড দিয়ে ঘরের দরজা বন্ধ করে দেয়।
ভুক্তভোগী রেখা বেগম জনায়, ইসমাইলে ভাই বেলাল হোসেন হঠাৎ করে তার নিজের সম্পত্তি দাবি করে গত ৮ ডিসেম্বর দুপুরে ও ৯ ডিসেম্বর ভোর রাতে বেলাল হোসেন (৪৫), রহমত উল্যা(৪০), রেখা বেগম (৩৫), রুবেল হোসেন (২৫), খতিজা বেগম(৪৮), সুমাইয়া আক্তার (১৮)সহ বেশ কয়েকজন একত্রিত হয়ে কুড়াল,
কিরিচ, রামদা নিয়ে সম্পত্তির টিনের ছাউনির বাঁশ, কাঠ ও টিনসহ আসবাপত্র লুটপাট করে নিয়ে যায়।
এব্যাপারে সরজমিনেন আজ শুক্রবার ঘটনাস্থলে গেলে, অভিযুক্ত বেলালের শ্বাশুড়ি খতিজা বেগম ও তার মেয়ে সুমাইয়া আক্তার বলেন, সেই দিন সম্পত্তি দখলের সময় মোহাম্মদীয়া বাজার পুলিশ ফাঁড়ির অফিসার ইনচার্জ ও দারোগারা ছিল। সম্পত্তি ইসমাইল বিক্রি করলেও সে এই দাগে ১০ শতাংশ মালিক না তাই আমরা পুলিশ সহায়তা সম্পত্তি দখল করেছি।
এব্যাপারে মোহাম্মদীয়া বাজার পুলিশ ফঁড়ির আইসি মোঃ আলমগীর হোসেন জানান, পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখে এটা তাদের ভাই ভাইয়ের বিষয়। এবিষয়ে আদালতে মামলা রয়েছে। এজন্য আমাদের করার কিছু ছিলোনা।
No comments:
Post a Comment