রামগঞ্জ (লক্ষ্মীপুর) প্রতিনিধিঃ
লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলার তাহেরপুর জিয়া গাজী বাড়ির জাহাঙ্গীর আলমের পৈত্রিক সুত্রে মালিক ২২ শতাংশ সম্পত্তি তাহেরপুর জিয়া গাজী জামে মসজিদের সম্পত্তির দোহাই দিয়ে মসজিদের সম্পত্তির বাহিরে গিয়ে জোরপূর্বক দাতাদের নিজ মালিকানা সম্পত্তি জবরদখল করে দীর্ঘ ৩৪ বছর যাবত হয়রানি করে আসছে।
জাহাঙ্গীর আলমের দাদা আবদুল কাদের তাহেরপুর জিয়া গাজী জামে মসজিদের জন্য ৩৫ শতাংশ সম্পত্তি দান করে গিয়াছেন যাহা পরে ওয়াক্ফ এস্টেট লক্ষ্মীপুর কার্যালয়ে রেকর্ড ও হয়েছে। অথচয় এলাকার কিছু দুষ্কৃতকারী লোকজন জোরপূর্বক ৫৭ শতাংশ সম্পত্তি মসজিদের দোহাই দিয়ে ভোগদখল করে আসছে।
এতে মসজিদের মোতওয়ালী জাহাঙ্গীর আলম সম্প্রতি বাংলাদেশ ওয়াক্ফ এস্টেট বরাবর একটি অভিযোগ দায়ের করলে লক্ষ্মীপুর জেলা প্রশাসকের নির্দেশে রামগঞ্জ সহকারী কমিশনার ভূমি মাহবুবুর রহমানের তত্ত্বাবধায়নে উপজেলা ভূমি সার্ভেয়ার মামুন হোসেন, তহসিলদার সহকারী তহসিলদার গন গত বুধবার (২৭ অক্টোবর ২০২১ইং) সরজমিনে গিয়ে মসজিদের নামে ওয়াক্ফকৃত ৩৫ শতাংশ সম্পত্তি সঠিক পরিমাপের মাধ্যমে সীমানা নির্ধারন করে। বাকী ২২ শতাংশ সম্পত্তি দাতা আবদুল কাদের ওয়ারিশ জাহাঙ্গীর আলমের বলে দীর্ঘ ৩৪ বছরের উক্ত সমস্যা সমাধান করেন।
এই ব্যাপারে মসজিদের মোতওয়ালী জাহাঙ্গীর আলম অভিযোগ করে বলেন,আমার দাদা আবদুল কাদের তাহেরপুর জিয়া গাজী জামে মসজিদের জন্য ৩৫ শতাংশ সম্পত্তি দান করে গিয়াছেন যাহা পরে ওয়াক্ফ এস্টেট লক্ষ্মীপুর কার্যালয়ে রেকর্ড ও হয়েছে।আমরা জেলাপ্রশাসক কার্যালয় মসজিদের সীমানা নির্ধারনের জন্য আমি জেলাপ্রশাসক বরাবর আবেদন করায় এই পরিমাপ করা হয়েছে এবং মসজিদের সম্পত্তি ও আমাদের সম্পত্তির সঠিক সীমানা নির্ধারন করা হয়েছে।
এরপূর্বেই একটি স্বার্থন্বেষী মহল উদ্দেশ্য প্রনোদিত হয়ে জোরপূর্বক ঐ ৩৫ শতাংশ সম্পত্তির বাহিরে গিয়েও আমাদের নিজ রেকর্ডিয় সম্পত্তি জবরদখলের করতে অনবরত চেষ্টা চালিয়েছে।
এলাকার সাখায়েত উল্ল্যার ছেলে মহসিন আলম বলেন,দাতা ৩৫ শতাংশ সম্পত্তি দান করেছে এরপর কেন মোখলেছুর মাষ্টারসহ এলাকার কিছু লোক তাহাদের বাকী সম্পত্তি নিয়ে বাড়াবাড়ি করছে তাহা আমার বোধগম্য নয়ে।
No comments:
Post a Comment