¬রামগঞ্জ (লক্ষ্মীপুর) প্রতিনিধি ঃ
লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে পাকা ভবন নির্মাণ কাজে বাঁধা দেওয়ায় মামলার বাদী সালামত উল্যা (৬০) ও তার পুত্রবধু তানিশা বেগম (২১) কে পিটিয়ে হত্যার চেষ্টা চালিয়েছে প্রবাসী মাঈন উদ্দিনের ভাই মোঃ কামাল হোসেনের নেতৃত্বে ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসীরা । ঘটনাটি ঘটেছে ৩ আগষ্ট মঙ্গলবার সকালে উপজেলার করপাড়া ইউপির আনন্দীপুর গ্রামের এত্তুর বাড়িতে। বাড়ির লোকজন সালামত উল্যা ও তার পুত্রবধু তানিসাকে উদ্ধার করে রামগঞ্জ সরকারী হাসপাতালে ভর্তি করেন। স্থানীয় মোহাম্মদীয়া বাজার ফাড়ি থানার সহকারী উপ-পুলিশ পরিদর্শক মোঃ সোহাগ উদ্দিন ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে কোন আইনী ব্যবস্থা না নিয়ে মামলার বাদী সালামত উল্যা ও বিবাদী মোঃ কামাল হোসেন গংদের রাতে ফাড়ি থানায় দেখা করতে বলেছে। পুলিশের এমন কর্মকান্ডে করপাড়া ইউনিয়নব্যাপী ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে।
নিজ মালিকানা দাবি করে ভূক্তভূগী সালামত উল্যা গত ২৪ জুন ২০২১ইং লক্ষ্মীপুর জেলা অতিরিক্ত ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ১৪৪/১৪৫ ধারায় একটি মিছ মামলা দায়ের করে। যাতে আদালত রামগঞ্জ উপজেলাধীন ৮৩ নং আনন্দিপুর মৌজার আর,এস ১৪৩ নং খতিয়ান ভূক্ত ৬২৭,৬৫২ দাগের অন্দরে ১৭শতাংশ সম্পত্তি উপর আদালত কোন প্রকার ঘর দরজা বা পাকা ভবন অথবা কোন প্রকার পরিবর্তন করা যাবেনা এমর্মে আদেশ প্রদান করেন।
কিন্তু কামাল হোসেন জোরপূর্বক ভাড়াটিয়া লোকজন নিয়ে আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য ভবন নির্মান করতে গেলে ভূক্তভোগী সালামত উল্যা বাধা প্রদান করলেও কামাল হোসেন হোসেনের নেতৃত্বে ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসীরা দেশীয় অস্ত্র-সস্ত্র নিয়ে বসতঘরের দরজা জানালা ভেঙ্গে ভিতরে প্রবেশ করে মামলার বাদী সালামত উল্যা ও তার পুত্রবধু তানিসাকে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে মোবাইল ফোন ও গলার স্বর্নের চেইন লুটপাট করে নিয়ে যায়। এদিকে অজ্ঞাত কারনে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কাজ বন্ধ না করে ভবন নির্মান কাজ অব্যাহত রাখতে মৌখিক নির্দেশনা দিয়েছে পুলিশ। এমনটিই জানিয়েছেন ভূক্তভোগী সালামত উল্যা।
মামলার বাদী সালামত উল্যা জানান, কামাল হোসেন প্রভাবশালী হওয়ায় আমাদের সম্পত্তি জোরপূর্বক জবর দখল করে আদালতের নির্দেশ অমান্য করে ভবন নির্মাণ করতে গেলে আমি বাঁধা প্রদান করতে গেলে ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী দিয়ে আমাদের উপর হামলা করে। আদালতে মামলা করার পরে পুলিশ স্থিতিবস্থা জারি না করে উল্টো কামালকে কাজ চালিয়ে নিতে সহযোগীতা করেছে।
এব্যাপারে অভিযুক্ত কামাল হোসেন ও ঠিকাদার আবদুল মোতালেব জানান,চেয়ারম্যান মজিবুল হক মজিব আমাদের কাজ করার নির্দেশ দিয়েছেন। সেই মোতাবেক আমরা নির্মান কাজ চালিয়ে যাচ্ছি।
তদন্তকারী কর্মকর্তা মোহাম্মদীয়া বাজার ফাড়ি থানার মোঃ আলমগীর হোসেন জানান জানান,মারামারির খবর শুনে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে একজনকে আটক করা হয়েছে। পরে মুচলিকা নিয়ে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তবে নির্মান কাজ বন্ধ করার দায়িত্ব পুলিশের নয়।
No comments:
Post a Comment