মোঃ আব্দুর রাজ্জাক রাজা
নাগরপুর(টাঙ্গাইল)প্রতিনিধি:
টাঙ্গাইলের নাগরপুরে এক যুবক কে হত্যার উদ্দেশ্যে মোবাইল ফোনে ডেকে নিয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করার ঘটনা নয় দিন অতিবাহীত হলেও এখন পর্যন্ত মামলাটি নথিভুক্ত হয়নি বলে অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী পরিবার। গত ৩০ মে (বরিবার) রাত ১০ টার দিকে নাগরপুর উপজেলার বেকড়া ইউনিয়নের নাট মন্দিরের সামনে ঘটনাটি ঘটে। আহত যুবকের নাম মো. সজিব মিয়া।সে উপজেলার চরকাঠুরী গ্রামের মো. বাচ্চু মিয়ার ছেলে । এ ঘটনায় আহত যুবকের চাচা মো.সদর আলী লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ দাখিলের পাঁচ দিন অতিবাহীত হবার পরও মামলা রেকর্ড না হওয়ায় ন্যায় বিচার পাওয়া নিয়ে আশংকা করছে পরিবারটি।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার বেকড়া ইউনিয়নের সৌদি প্রবাসী মো. জহিরুল
ইসলামের সাথে সজিবের দীর্ঘ দিনের বন্ধুত্ব ছিল। সেই সুবাদে জহিরুলের বন্ধু সজিব ওই
বাড়ীর সকল বিষয়ে খোঁজ খবর রাখত। এক পর্যায়ে সজিব জানতে পারে তার বন্ধুর স্ত্রী আলো বেগম কে একই গ্রামের মৃত তামেজের ছেলে মো. লৎফর (৪৫) জৈনুদ্দিনের ছেলে মো. জানে আলম (৪০) আসাদের ছেলে তানভীর (২৫) আব্দুল জলিলের ছেলে হেলাল (৩০) সহ আরো কয়েক জন মিলে বিভিন্ন সময় নানা ভাবে উত্যক্ত করে। সজিব তাদের কে নিষেধ করলে উক্ত আসামীগণ সজিবের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে। এরই জের ধরে ওই ব্যক্তিরা গত ইং ৩০-০৫-২০২১ তারিখ রবিবার আনুমানিক
রাত ৯টা ৩০ মিনিটে অপরিচিত মোবাইল নম্বর দিয়ে জরুরি কথা আছে বলে ফোন করে দেখা
করতে বলে। সজিব রাত্রি ১০ টার দিকে বেকড়া মেলা নাট স্থানে দেখা করতে গেলে দূর্বৃত্তরা
পরিকল্পিত ভাবে ধারালো অস্ত্র দিয়ে মাথা সহ শরিরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাত করে। সজিব জ্ঞান হারিয়ে ফেললে অস্ত্রধারিরা মৃত ভেবে সজিবকে নিজাম মিয়ার বাড়ীর দক্ষিণ পাশে চকের মাঝ খানে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। ভোর রাতে আযানের শব্দ শুনে সজিব জ্ঞান ফিরে বাচার জন্য নিজামের বাড়ীতে আশ্রয় নেয়। পরে নিজাম তার আত্মীয়দের ফোন করে দ্রত নাগরপুর সদর হাসপালে নিয়ে যায়। কর্মরত ডাক্তার সজিবের অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য টাঙ্গাইল শেখ হাসিনা মেডিকেলে প্রেরণ করে। আহত সজিবের চাচা সদর আলী বলেন, প্রতি দিনের মতো রাতে দোকান বন্ধ করে বাড়ীর উদ্দেশ্যে রওনা দেয় সজিব। রাত্রি ৯ টা ৩০ মিনিটের দিকে লুৎফর নামে এক জন ফোন করে তাকে (সজিব) বেকড়া নাট মন্দিরের কাছে যেতে বলে। আমার ভাতিজা সজিব দেখা করতে গেলে দুর্বৃত্তরা পরিকল্পিত ভাবে কুপিয়ে মুমুর্শ অবস্থায় চকের মাঝে ফেলে রেখে চলে যায়। এ ঘটনায় নাগরপুর থানায় আমি একটি অভিযোগ করলেও পুলিশ মামলাটি নথিভুক্ত করতে কালক্ষেপন করছে।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে নাগরপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. বাহালুল খান বাহার বলেন, এব্যাপারে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্তাধীন রয়েছে। তদন্তের পর পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে।
No comments:
Post a Comment