নিউজ ডেস্ক ঃ
টাকার লোভ সামলাতে না পেরে ছোড়া দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয় নীলফামারীর জলঢাকা শহরের হাফিজুর রহমানকে(৫৫)।
৩১মে রাতে পৌণে নয়টার দিকে জলঢাকা শহরের উত্তর চেরেঙ্গা পুলের পাড় নামক এলাকার একটি আবাদী জমিতে হত্যা করা হয় তাকে।
এ ঘটনায় জড়িত মুল আসামী রুবেল হোসেনকে(৩৫) কে গাজিপুর জেলার কালিয়াকৈর থেকে শনিবার রাতে পুলিশ গ্রেফতার করেছে।
রবিবার আদালতের মাধ্যমে তাকে জেল হাজতে পাঠানো হয়। রুবেল একই এলাকার তালেব আলীর ছেলে এবং একজন কসমেটিকস ব্যবসায়ী।
রবিবার বিকেলে পুলিশ সুপার কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে হাফিজুর হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটন এবং জড়িত ব্যক্তির গ্রেফতার নিয়ে সংবাদ মাধ্যমে জানান পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোখলেছুর রহমান বিপিএম, পিপিএম।
এতে জানানো হয় হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত ধারালো ছোড়া, দুটি মোবাইল, হাফিজুর রহমানের লুঙ্গির গোচে থাকা ২লাখ ৮৫হাজার ৩০৯ টাকা, রুবেলের স্যান্ডেল ছাড়াও হাফিজুরের রক্তমাখা শার্ট উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ সুপার মোখলেছুর রহমান জানান, হাফিজুরের ছেলে সাদেকুল ইসলাম ও আসামী রুবেল ইসলাম একই ধরণের ব্যবসায় নিয়োজিত হওয়ায় রুবেলের দোকানটি চার লাখ টাকায় বিক্রির কথা ছিলো সাদেকুলের কাছে।
দোকান ক্রয়ের এই টাকা ছিলো হাফিজুরের কাছে।
বিষয়টি জানতে পেয়ে ঘটনার দিন রাত আটটার দিকে ৮০টাকা দিয়ে একটি ছোড়া কিনে চেরেঙ্গা এলাকায় কৌশলে নিয়ে হাফিজুরকে কুপিয়ে হত্যা করে রুবেল। ঘটনার পর থেকে পলাতক ছিলো সে।
এ ঘটনায় নিহতের ছেলে সাদেকুল ইসলাম বাদী হয়ে একটি মামলা করেন জলঢাকা থানায়।
তিনি বলেন, ডিজিটাল প্রযুক্তির সহায়তায় গতরাতে(৫জুন) গাজিপুর জেলার কালিয়াকৈর উপজেলার মৌচাক বস্তি থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
রবিবার বিকেলে গ্রেফতার আসামীকে সিনিয়র জুসিডিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার লিজা আক্তার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাইফুল ইসলাম, জলঢাকা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোস্তাফিজার রহমান, নীলফামারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুর রউপ, গোয়েন্দা বিভাগের পরিদর্শক ফিরোজ কবির, নীলফামারী থানার পরিদর্শক(তদন্ত) মাহমুদ উন নবী উপস্থিত ছিলেন।
No comments:
Post a Comment