রামগঞ্জ (লক্ষ্মীপুর) প্রতিনিধি::
লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে এক পল্লীবিদ্যুৎ কর্মীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ,ঐ কর্মীর স্বজনদের দাবি তাকে পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করা হয়েছে।
এনিয়ে রবিবার (১৩ জুন২০২১ইং) সাংবাদিক সম্মেলন করেছে নিহতের স্বজনরা ।
গত বুধবার ( ০৯ জুন) সকালে ইমরান হোসেন (৩০) নামের এক পল্লীবিদ্যুৎ কর্মীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে সোনাপুর থেকে পানিওয়ালা যাওয়ার পথে পল্লীবিদ্যুৎ সাব ষ্টেশন অফিসে। নিহত ইমরান হোসেন চাঁদপুর জেলার হাজীগঞ্জ উপজেলার নাসির কোট গ্রামের মুন্সি বাড়ির শাহজাহান মুন্সির ছেলে।
নিহতের বাবা শাহজাহান মুন্সি সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন, গত বুধবার সকালে পল্লীবিদ্যুৎ অফিস থেকে ফোন দিয়ে বলা হয়েছে আমার ছেলে খুবই অসুস্থ্য। তাড়াতাড়ি রামগঞ্জে আসার জন্য। কি অসুস্থ্য জিজ্ঞাসা করলে তারা বলে আগে আসেন তারপর বলব। এই বলে ফোন কেটে দেয়।
আমরা পরিবারের লোকজন মিলে তাড়াতাড়ি রামগঞ্জে আসলে ওরা বলে থানায় যান। এখানে এসে দেখি আমার ছেলের লাশ সে নাকি আত্মহত্য করেছে। আমাদের দাবি এটি আত্মহত্যা নয় এটি পরিকল্পিত হত্যা।
নিহতের বোন সালমা আক্তার বলেন, আমার ভাই পল্লীবিদ্যুৎতের লাইন ম্যান হিসাবে কাজ করত। কিন্তু তাকে সাব ষ্টেশনে কাজ করতে বলায় তার উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার সাথে ঝগড়ার সৃষ্টি হয়। সে আমাদের ফোনে সব খুলে বলে এবং চাকুরী করবে না বলে জানান তার ভালো লাগে না উচ্চপদস্থ্য কর্মকর্তার আচার ব্যবহার। কিন্তু তার পরে আত্মহত্যা করতে পারে না। এটি সম্পূর্ণ পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে খুন করা হয়েছে।
নিহতের ফুফু নাজমা বেগম জানান, পুলিশ আমাদের কোন সহযোগিতা করছে না। কেন? কিভাবে? কোন কারনে এই মৃত্যু হয়েছে তা আমাদেরকে কেউ বলে নাই।
পল্লীবিদ্যুৎ অফিসের ডিজিএমও আমাদের কোনো সঠিক তথ্য দিচ্ছে না। যদি এটি আত্মহত্যা হয় তবে কেন ইমরানের মুখের এক পাশ কালো হয়ে গেল?
বুকের এক পাশে কেন কালো হয়ে গেল? শরীরের পরা জামাকাপড়ে মাটি থাকবে কেন? আমরা প্রশাসনের কাছে এই মৃত্যুর সঠিক তদন্ত চাই। আমরা রামগঞ্জ পল্লীবিদ্যুৎতে কর্মরত ডিজিএম নুরুল আলম ভূঁইয়া, এজিএম কীষর চন্দ্র পাল ও সহকারী ইন্জিনিয়ার বিজয় কুমার দাসের বিচার চাই।
নিহতের মামা মোঃ সিরাজুল ইসলাম বলেন, আমাদের রামগঞ্জ থানায় থেকে বলা হয়েছে, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসার পরে মামলার প্রস্তুতি নিবেন।
পল্লীবিদ্যুতের ডিজিএম নুরুল আলম ভূঁইয়া বলেন,
নিহতের লাশের ময়নাতদন্ত হয়েছে রিপোর্ট আসলে বুঝা যাবে। যদি এটি হত্যা হয়ে থাকে তাহলে তার পরিবারের সাথে আমরাও চেষ্টা করবো যেন অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হয়।
এই বিষয়ে জানতে চাইলে রামগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ আনোয়ার হোসেন ও ওসি তদন্ত কার্তিক চন্দ্র বিশ্বাস জানান,আমরা লাশ উদ্ধার করে যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া শেষ করে তার পরিবারের নিকট লাশ হস্তান্তর করেছি ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসারপরই বুঝা যাবে এটি হত্যা না আত্মহত্যা।
No comments:
Post a Comment