নাগরপুরে মুক্তা ফার্মেসী মালিকের হাতে রোগী মৃত্যুর অভিযোগ - pratidinkhobor24.com

Breaking

Home Top Ad

Post Top Ad




Wednesday 7 April 2021

নাগরপুরে মুক্তা ফার্মেসী মালিকের হাতে রোগী মৃত্যুর অভিযোগ



মোঃ আব্দুর রাজ্জাক রাজা 
নাগরপুর(টাঙ্গাইল) প্রতিনিধিঃ

টাঙ্গাইলের নাগরপুরে মুক্তা ফার্মেসী মালিকের হাতে রোগীর মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। সোমবার রাতে নাগরপুর উপজেলার পাকুটিয়া ইউনিয়নের স্বাক্ষীপাড়া গ্রামে ঘটনাটি ঘটে। পাকুটিয়া ইউনিয়নের হাড়িপাড়া গ্রামের মো. মানিক মিয়ার মেয়ে নুরজাহান (২০) এ ঘটনার শিকার হন। ফার্মেসী মালিক মুক্তার হোসেন (৩০) সে রাথুরা গ্রামের আ. আজিজ এর ছেলে। খবর পেয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য টাঙ্গাইল সদর হাসপাতালে পাঠান।

এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, সোমবার রাত নয়টার দিকে স্বামীর সাথে অভিমান করে নুরজাহান বিষপান করে । স্বামীর চিৎকার শুনে আশ পাশের লোকজন ছুটে আসে। স্বামী মো. সেলিমা মিয়া না বুঝে রাথুরা বাজারে নিয়ে আসলে মুক্তা ফার্মেসীর মালিক মো. মুক্তার হোসেন কয়েক গ্লাস পানি খাওয়ে ওয়াস করে  তাকে বাড়ীতে পাঠিয়ে দেন। মুক্তার হোসেন সেলাইন নিয়ে অসুস্থ্য নুরজাহানের স্বামী বাড়ী যায়। মুক্তার তার প্রেসার না মেপে তাকে সেলাইন পুশ করে। সেলাইন দেবার সাথে সাথে নুরজাহানের নাক মুখ দিয়ে রক্ত বেড়িয়ে আসে। এ সময় মুক্তার ভয় পেয়ে যায় এবং পরিবারের লোকজনকে দ্রুত সরকারি হাসপাতালে নিতে বলে। বাড়ী থেকে সাটুরিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়ার পথে মারা যায় নুরজাহান। মঙ্গলবার সকালে পুলিশ সংবাদ পেয়ে সেলিমের বাড়ি থেকে লাশ উদ্ধার করে নাগরপুর থানায় নিয়ে আসে এবং ময়না তদন্তের জন্য টাঙ্গাইল সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেন।

মুক্তা ফার্মেসীর মালিক মুক্তার হোসেন সত্যতা শিকার করে বলেন, আমার ভূল হয়েছে তাকে চিকিৎসা দেয়া । আমি তাকে সেলাইন পুশ করিনি তার আগেই নুরজাহানের নাক মুখ দিয়ে রক্ত চলে আসে । নুরজাহানকে রাত ১০টার দিকে  সাটুটিয়া হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত্যু ঘোষনা করেন।

সেলিমের চাচাতো বোন লাভলী বলেন, নুরজাহান বিষপান করলে ওর স্বামী তাকে সাথে নিয়ে আমাদের বাড়ীতে আসে । নুরজাহান বলে আপা আমার খারাপ লাগছে মাথা ঘুরছে আমাকে বাচাঁও বলে সে মাটিতে পরে যায়। আমি তাকে সাটুরিয়া হাসাপাতালে নিতে বলি। নুরজাহানের স্বামী ও ভাগ্নে মুক্তা ফামের্সীতে নিয়ে যায়। মুক্তার নুরজাহান কে দেখে বলে আমি তাকে চিকিৎসা করলে ভাল হয়ে যাবে। সে কয়েক গ্লাস পানি খাওয়ে নুরজাহানকে বাড়ী নিয়ে আসতে বলে। মুক্তারও সাথে সাথে বাড়ীতে আসে এবং সেলাইন পুশ করে। যখন নুরজাহানের নাক মুখ দিয়ে রক্ত  চলে আসছে ঠিক তখন মুক্তার বলে নুরজাহানকে সাটুটিয়া হাসপাতালে নিয়ে যাও। 

সেলিমের মা বলেন, মুক্তার চিকিৎসা না দিয়ে সে আমার বউমাকে হাসাপাতালে পাঠাতো তা হলে আমার ছেলের বউ বেচে যেত। সে আরো বলেন, আমরা হাসাপাতালে নিতে চাইলে মুক্তার বলে আমার  চিকিৎসায় ভাল হবে ।  হাসপাতালে নিতে হবে না। 

 নিহত নুরজাহানের বাবা মানিক মিয়া বলেন, ৮/৯ মাস আগে আমার মেয়েকে স্বাক্ষীপাড়ায় সেলিমের সাথে বিয়ে হয়। সেলিমের আগের বউ  চলে গেছে জেনেও তার সাথে মেয়েকে বিয়ে দেই। সেলিমের চাচাতো বোন লাভলী রাত তিনটার দিকে আমাকে ফোন দিয়ে বলে আপনার মেয়ে অসুস্থ্য আপনারা চলে আসেন এই বলে ফোন কেটে দেয়।  আমিসহ আমার লোকজন নিয়ে সেলিমের বাড়ীতে ভোরে সেলিমের বাড়ি এসে দেখি আমার মেয়ে ঘরে ভিতর পরে আছে। তখন কেউ আর আমার সাথে কথা বলে না সেলিম কেউ দেখতে পাওয়া যায়নি। 

এব্যাপারে নাগরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আনিসুর রহমান বলেন, এ বিষয়ে থানায়  একটি অভিযোগ পেয়েছি লাশ উদ্বার করে ময়না তদন্তের জন্য টাঙ্গাইল সদর হাসপাতালে প্রেরন করা হয়েছে। তদন্ত রিপোর্ট দেখে আমরা আইনুগত ব্যবস্থা গ্রহন করবো।

No comments:

Post a Comment

Post Bottom Ad

Pages