নাগরপুরে ট্রাক্টর সমিতির সহ সভাপতি বারেকের বিরুদ্ধে ধর্ষনের অভিযোগ - pratidinkhobor24.com

Breaking

Home Top Ad

Post Top Ad




Thursday 18 March 2021

নাগরপুরে ট্রাক্টর সমিতির সহ সভাপতি বারেকের বিরুদ্ধে ধর্ষনের অভিযোগ



মোঃ আব্দুর রাজ্জাক রাজা 
নাগরপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি:
টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার সদর ইউনিয়নের দুয়াজানী গ্রামের ভাড়াটিয়াকে বিয়ের আশ্বাস দিয়ে দিনের পর দিন শারিরীক সম্পর্ক করে আসছে প্রেমিক মো. তোফায়েল আহম্মেদ বারেক (লেদ বারেক)। বুধবার রাতে প্রেমিক প্রেমিকার মধুর মিলনের সময় হাতে নাতে ধরে এলাকারবাসী গনধোলাই দিয়ে পুলিশের কাছে সোপর্দ করে। এমন ন্যাক্কারজনক ঘটনাটি ঘটেছে দুয়াজানী গ্রামের মো কোহিনুরের বাসায়। প্রেমিকার সাথে ৬ মাস প্রেমের সম্পর্ক করে হাতিয়ে নিয়েছে ৫ লাখ টাকা ও ৫ ভরি স্বর্ণালঙ্কার। প্রেমিক বারেক উল্টো ভুক্তভোগীর নামে থানায় অভিযোগ দায়ের করে। ভুক্তভোগী বিধবা নারী হলেন উপজেলার গয়হাটা ইউয়িনের আগতগয়হাটা গ্রামের আ. কবীরের মেয়ে বয়স (৩০)। এ নিয়ে এলাকায় শুরু হয়েছে মধুর হাড়ির গুনঞ্জন । প্রেমিক বারেক উপজেলার মামুদনগর ইউনিয়নের  উত্তর পাড়ার গোপাল সিকদারে ছেলে।

ভুক্তভোগী পরিবার ও মামলা সূত্রে জানা যায়, ট্রাক্টর মালিক সমিতির সহ-সভাপতি বারেক মিয়ার (লেদ বারেক) সাথে ভুক্তভোগী বিধবা নারীর সাথে ছয় মাস ধরে প্রেমের সম্পর্ক চলে আসছে। গত ৬ মাসে বারেক বিভিন্ন স্থানে নিয়ে গিয়ে বিয়ের প্রলোভনে বহুবার শারিরিক সম্পর্ক স্থাপন করে। সুকৌশলে লম্পট বারেক ওই নারীকে বিয়ের আশ্বাস দিয়ে বার বার শারিরিক সম্র্পক করতে বাধ্য করেন। এছাড়াও প্রেমিক বারেক নতুন সংসারের পরিকল্পনার কথা বলে নগদ ৫ লাখ টাকা ও ৫ ভরি স্বর্ণালংঙ্কার হাতিয়ে নেয়। এতেও সে ক্ষান্ত হয় না, চালাতে থাকে বিয়ে না করেই যৌন সম্পর্ক। ১০ মার্চ বুধবার রাতে দুয়াজানী গ্রামে ওই নারীর বোনের বাড়িতে পুনরায় যৌন সম্পর্ক করতে যায় লম্পট বারেক। বিষয়টি এলাকাবাসী টের পেলে হাতে-নাতে ধরে ফেলে। লম্পট বারেক নিজ প্রভাব খাটিয়ে ভুক্তভোগীদের হুমকি দিয়ে চলে আসে।  অসহায় পরিবারটি অভিযোগ করে আরও বলেন, বারেক অনেক ক্ষমতাবান লোক, সে বিভিন্ন ভাবে হুমকি দিয়ে বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে । আমাদের কে এলাকা ছাড়ার হুমকি দিচ্ছে। ভুক্তভোগি পরিবারের দাবি, আমরা প্রতারক বারেকের দৃষ্টান্তমূলক বিচার চাই। ভূক্তভোগি পরিবার বাধ্য হয়ে টাঙ্গাইলের বিজ্ঞ নারী ও শিশু নিযার্তন দমন আইনে ২০০০ (সং /০৩) এর ৯(১) ধারা তৎসহ পণোর্গ্রাফী নিয়স্ত্রণ আইন ২০১২ এর ৮(১,২) ধারায় ১৪/০৩/২০২১তারিখে মো. বারেক মিয়াকে আসামী করে মামলা দাখিল করেন ওই নারী।  

এব্যাপারে ট্রাক্টর মালিক সমিতির সহ-সভাপতি বারেক বলেন, কয়েক সপ্তাহ পূর্বে কে বা কারা আমার মুঠোফোনে ৪৯ টাকা রিচার্জ করে দেয়। পরে এক মহিলা আমাকে ফোন দিয়ে বলে আমি ভুলক্রমে আপনার মোবাইলে টাকা পাঠিয়েছি, অনুগ্রহপূর্বক টাকাটা ফেরত দিলে কৃতজ্ঞ থাকতাম। পরে আমি টাকাটা ফেরৎ দেই। পরদিন থেকে মহিলাটি আমাকে মাঝে মাঝে ফোন দিতে থাকে। পরিচয়ের মাধ্যমে বুধবার মহিলাটি আমাকে দরজার কাজের জন্য তার বাসায় যেতে বলে। মহিলার ওই ঠিকানা অনুযায়ী আমি ওই বাড়িতে গিয়ে দেখি বাড়িটি তার বোনের। তখন জানতে চাই দরজার কাজ কোথায় হবে, মহিলাটি আমাকে বলে আপনি বসুন চা খেতে খেতে কথা বলি। এর মধ্যেই কাপড় দিয়ে মুখবাঁধা তিনজন যুবক ঘরের মধ্যে ঢুকে আমাকে প্রশ্ন করে, খালি বাসায় কি করেন। আমার উত্তরের অপেক্ষা না করেই এলোপাতাড়ি পেটাতে থাকে এবং লুঙ্গি পড়িয়ে ভিডিও ধারণ করে। এরপর বাড়িওলার বোনকে ফোন দিলে তারাসহ এলাকাবাসী আমাকে উদ্ধার করে। পরে আমি নাগরপুর থানায় বিষয়টি অবগত করি। 

এ ব্যাপারে নাগরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আনিসুর রহমান বলেন, ভুক্তভোগীর পরিবার থেকে আমরা কোন অভিযোগ পাইনি। কিন্তু বারেক থানায় একটি মারধরের অভিযোগ করেছে। তদন্ত পূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

No comments:

Post a Comment

Post Bottom Ad

Pages