রামগঞ্জ (লক্ষ্মীপুর) প্রতিনিধিঃ
লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক পৌর শহরস্থ সোনাপুর মুন্সি বাড়ি নিবাসী জিএস মিল্টনের নিজস্ব দ্বিতল টাইলস করা বাড়ি থাকার পর মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া গৃহহীনদের জন্য কাবিটা কর্মসুচির দূর্যোগ সহনীয় বাসগৃহ নির্মন প্রকল্পের নামে ২০১৯-২০ইং অর্থবছরের
প্রায় তিন লক্ষ টাকার বরাদ্দকৃত একটি ঘর নিয়ে তা তিন হাজার টাকা ভাড়া দিয়ে ভোগ করে আসছে। এনিয়ে বঞ্চিত গৃহহীনদের মাঝে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে ।
আজ সোমবার সরজমিনে গেলে দেখা জিএস মিল্টন বিলাসবহুল একটি দ্বীতল ভবনে স্ব পরিবার নিয়ে বসবাস করিতেছে অথচয় নিজেকে গৃহহীন দেখিয়ে ২০১৯-২০ অর্থ বছরে সরকারি ঘর বরাদ্দ নিয়ে ঐ ভবনের পাশেই গৃহহীনদের নামে বরাদ্দকৃত ঘরটি নির্মান করে।উক্ত ঘরটি তার প্রয়োজনের অতিরিক্ত হওয়া তাহা ফরিদগঞ্জ উপজেলা এক নার্সারী ব্যবসায়ী বেবি বেগমের নিকট হইতে প্রতি মাসে তিন হাজার টাকা করে ভাড়া আদায় করিতেছে।
এ ব্যাপারে গৃহহীন বঞ্চিত অনেকেই চরম ক্ষোভ প্রকাশ করে। পৌর কাজেরখীল নিবাসী আলেয়া বেগম নামের এক গৃহহীন জানা আমি দীর্ঘ দুই বছর যাবৎ বিভিন্ন দপ্তরে দপ্তরে হাটতেছি আবেদন নিয়ে আমার আবেদনে স্হানীয় এমপি মহাদয় সুপারিশ দেওয়ার পরও তাহার কোন কার্যকর হচ্ছে না
অথচ উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা জিএস মিল্টনের বিলাসবহুল ভবন থাকার পরও সে কিভাবে সরকারি ঘর পায়?
সরকারী ঘরে ভাড়ায় বসবাসকৃত গৃহিনী বেবী বেগম জানান, গত এক বছর যাবত প্রতিমাসে জিএস মিল্টনকে ৩হাজার টাকা ভাড়া দিয়ে এখানে বসবাস করে আসছি। উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা জিএস মিল্টনের বিলাসবহুল ভবন থাকার পরও সে কিভাবে সরকারি ঘর পেয়েছে সেটা আমি জানিনা।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত উপজেলা আওয়ামীলী নেতা জিএস মিল্টন বলেন,দ্বিতল ভবনটি আমার ভাইয়ের। আমার কোন বাড়ি নেই। জীবনে আওয়ামীলীগের কাছ থেকে কোন সুযোগ সুবিদা পাইনি। শুধুমাত্র একটি ঘর পেয়েছি। ওটা আমি ভাড়া দেইনি। ওখানে আমার এক বোন থাকে।
উপজেলা পিআইও দিলিপ দে বলেন,আমি যোগদানের পূর্বেই এর তালিকা হয়েছে আমি শুধু এর বাস্তবায়ন করছি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাপ্তি চাকমা বলেন,
এঘরটি আমি দায়িত্ব নেওয়ার পূর্বেই করা হয়েছে এ সম্পর্কে আমার কিছু জানা নাই। তবে অভিযোগ পেলে ব্যবস্হা নিবো।
No comments:
Post a Comment