রামগঞ্জ (লক্ষ্মীপুর) প্রতিনিধি ঃ
লক্ষ্মীপুর রামগঞ্জ পৌরসভার রয়েল স্পেশালাইজড হাসপাতালটি প্রতারক চক্রের খপ্পরে পড়েছে। শেয়ার হোল্ডারদের বিনিয়োগকৃত প্রায় কোটি টাকার আত্বসাতের পায়তারা করছে চক্রটি। রয়েল স্পেশালাইজড হাসপাতালের চেয়ারম্যান দেওয়ান ফজলুল হক ওরফে বেলাল, ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাজু আহমেদ ও কোষাধ্যক্ষ খন্দকার শামসুল ইসলাম সহ তিন সদস্য বিশিষ্ট এই প্রতারকচক্র হাসপাতালের শেয়ার হোল্ডারের কাছ থেকে কোটি টাকা নিয়ে অন্যত্র পালিয়ে বেড়াচ্ছে । উপজেলাব্যাপী এখবর সর্বত্র ছড়িয়ে পড়লে বেশ কয়েকজন গ্রাহক তাদের বিনিয়োগকৃত টাকা ফেরতের জন্য হাসপাতালে গেলে চেয়ারম্যান,এমডি ও কোষাধক্ষ সহ কাউকে না পাওয়ায় বিনিয়োগকারীদের মধ্যে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। ১৬মার্চ (মঙ্গলবার) সকালে হাসপাতালে গিয়ে ঘটনার সত্যতা পাওয়া যায়।
সূত্রে জানা যায়, বিগত ১লা জানুয়ারী ২০ইং সনে এক বছর পূর্বে রামগঞ্জ শিশুপার্কের সামনে ৬ তলা বিশিষ্ট একটি ভবন ভাড়া নিয়ে এই প্রতারক চক্রটি হাসপাতালে ব্যবসা শুরু করে। অধিক মুনাফার লোভ দেখিয়ে শতাধিক শেয়ার হোল্ডারের কাছ থেকে দুই/তিন লাখ টাকা করে শেয়ার সংগ্রহ করে কোটি কোটি টাকা উত্তোলন করে। কিন্তু উত্তোলনকৃত টাকার সিংহভাগ টাকাই হাসপাতাল ব্যবসা থেকে সরিয়ে নিয়ে রয়েল স্পেশালাইজড হাসপাতালের চেয়ারম্যান দেওয়ান ফজলুল হক ওরফে বেলাল, ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাজু আহমেদ ও কোষাধ্যক্ষ খন্দকার শামসুল ইসলামসহ প্রতারক চক্রটি অন্যত্রে তাহাদের ব্যক্তিগত ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে ।
ভুক্তভোগীরা মোঃ মনির হোসেন,মিজানুর রহমান সহ অনেকেই জানান , শেয়ার হোল্ডার ও পরিচালকদের না জানিয়ে হাসপাতালের চেয়ারম্যান,এমডি ও কোষাধক্ষ গনহারে শেয়ার হোল্ডারের নাম করে টাকা সংগ্রহ করে। পরে ওই টাকা হাসপাতালে বিনিয়োগ না করে অন্যত্রে নামে-বেনামে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলে।
হাসপাতালটির কোষাধ্যক্ষ সামছুল ইসলাম বলেন,ডিসেম্বরে আমার দায়িত্ব শেষ হলেও চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালকে আমার দায়িত্ব বুঝে নেওয়ার কথা বলেছি। কিন্তু অজ্ঞাত করনে কেউ হিসাব বুঝে না নেওয়ায় আমি বিপাকে আছি।
ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ রাজু আহমেদ পলাতক থাকায় তার সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
রয়েল স্পেশালাইজড হাসপাতালের চেয়ারম্যান দেওয়ান ফজলুল হক জানান, আমি ওই প্রতিষ্ঠানে পুতুল চেয়ারম্যান হিসেবে আমি। প্রতিষ্ঠানে কতটাকা বিনিয়োগ শেয়ার হোল্ডার কতজন, লাভ-লোকসান কোন বিষয়ই আমি জানিনা। মূলত ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাজু আমাকে জোর করে চেয়ারম্যান বানিয়েছে। সকল হিসাব-কিতাব রাজুর কাছেই আছে।
রামগঞ্জ থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন জানান, এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত কেউ কোন অভিযোগ করেনি। অভিযোগ করলে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
No comments:
Post a Comment