রামগঞ্জে ইঁদুর মারার ফাঁদে মাদ্রাসা ছাত্রের মৃত্যু
রামগঞ্জ (লক্ষ্মীপুর) প্রতিনিধিঃ
লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলার ইরি ক্ষেতের ইঁদুর মারার ফাঁদে রাকিব হোসেন সুমন (১৩) নামের এক মাদ্রাসা ছাত্রের মৃত্যু হয়েছে। ২০ ফেব্রুয়ারী শনিবার সকালে উপজেলার নোয়াগাঁও ইউনিয়নের হোটাটিয়া গ্রামের আবুল খায়ের ব্রিক ফিল্ডের পূর্ব পাশে ফসলী মাঠে বিদ্যুতের তারের সাহায্যে ইঁদুর মারার ফাঁদে মাদ্রাসা ছাত্র সুমনের মৃত্যু হয়। স্থানীয় ইউপি সদস্য ও প্যানেল চেয়ারম্যান সোহেল পাটোয়ারী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।খবর পেয়ে রামগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) কার্তিক চন্দ্র বিশ্বাস ও এসআই মহসিন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। পরে সমাধানের আশ্বাস দিয়ে ময়না তদন্ত ছাড়াই ওই ছাত্রের লাল দাফন করা হয়।
সরজমিনে ২১ফেব্রুয়ারী রবিবার দুপুরে ঘটনাস্থলে গেলে এলাকাবাসী জানান,হোটাটিয়া চৌকিদার বাড়ির মোরশেদ আলম পাশ্ববর্তী বাড়ি হইতে শুক্রবার রাতে বৈদ্যুতিক লাইন হোটাটিয়া উত্তর মাঠে নিয়ে জিআই তার দিয়ে তার চাষের ইরি জমিনের চারপাশে লাগিয়ে ইঁদুর মারার ফাঁদ তৈরি করে। শনিবার সকাল ৮ টায় একই বাড়ির বিল্লাল হোসেনের ছেলে আশাপুরা নুরানি ও হাফেজিয়া মাদ্রাসার ছাত্র সবেমাত্র পবিত্র কোরআন মুখাস্ত করে হাফেজ হওয়া রাকিব হোসেন সুমন ইরিক্ষেতে শামুক খুজতে গিয়ে মোরশেদের তৈরি করা ইঁদুর মারার ফাঁদে বৈদ্যুতিক শর্টে হাফেজ সুমনের করুন মৃত্যু হয়। এই ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে। অন্যদিকে স্থানীয় ই্উপি সদস্য সোহেল পাটওয়ারী ঘটনাটি ধামাচাপা দিয়ে ময়না তদন্ত ছাড়াই সমাধানের নামে লাশ দাফন করেন।
হোটাটিয়া গ্রামের নাম প্রকাশে অনিশ্চুক কয়েকজন জানান, জমির মালিক মোর্শেদ নিজেই সকালে জমিতে এসে লাশ দেখতে পেয়ে দ্রুত বিদ্যুত লাইন সরিয়ে নিয়ে কাউকে কিছু না জানিয়ে তার বসতঘরে তালা ঝুলিয়ে গোপনে পালিয়ে যায়।
মৃত সুমনের পিতা বিল্লাল হোসেন বলেন,আমার ছেলেকে বিদ্যুতের শর্টসার্কিট দিয়ে হত্যা করা হয়েছে। আমি এই হত্যাকারীর উপযুক্ত শাস্তি দাবি জানাচ্ছি। তিনি আরো বলেন, হত্যাকারীরা দ্রুত বৈদ্যুতিক লাইন সরিয়ে নিয়ে সুমনের লাশটি গুম করার চেষ্টা করে। এলাকাবাসী দেখে ফেলায় তারা লাশ গুম করতে ব্যার্থ হয়।
ইউপি সদস্য সহেল পাটোয়ারী জানান,মৃত ছাত্রের পরিবারে সাথে কথা বলেই আমি লাশ দাফনের মাধ্যমে বিষয়টি সমাধান করে দিয়েছি। ক্ষতিপুরনের বিষয় নিয়ে পরবর্তীতে আবার বৈঠকে বসা হবে।
রামগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) কার্তিক চন্দ্র বিশ্বাস জানান, মৃত মাদ্রাসা ছাত্রের পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় কেউ কোন অভিযোগ করেননি। শুনেছি স্থানীয়ভাবে তারা বসে বিষয়টি সমাধান করে নেওয়ার কথা রয়েছে।
ওসি মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন জানান, বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিটে মত্যু হলেও নিহতের পরিবারের কোন অভিযোগ না থাকায় ময়না তদন্ত হয়নি। অভিযোগ পেলে বিধিমোতাবেক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
No comments:
Post a Comment