রামগঞ্জ( লক্ষ্মীপুর) প্রতিনিধিঃ
লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে প্রতারনা করে মসজিদের সম্পত্তি নিজের নামে নেয়ার চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে জাহাঙ্গীর আলম ও মহসিন নামের দুই জনের বিরুদ্ধে। গতকাল উপজেলার লামচর ইউনিয়নের তাহিরপুর জিয়া গাজী মিজি বাড়ি জামে মসজিদ কমিটির লোকজন ও উপস্থিত মসজিদের মুসল্লীরা এই অভিযোগ করেন।
তাঁরা জনায়, বিগত ৭/৮ মাস পূর্বে আছরের নামাযের পর একদিন মহসিন হাঠাৎ সবাইকে বলল মসজিদ উন্নয়নে সরকারি বরাদ্দ আসবে তাই সকলের স্বাক্ষর লাগাবে এ বলে এলাকাবাসীর নিকট থেকে স্বাক্ষর নিয়ে তাঁর সেলোক জাহাঙ্গীর আলমকে মোতোয়ালি বানিয়ে সে মসজিদের নামের ৫৭ শতাংশ সম্পত্তি মাঝ থেকে মাত্র ৩৫ শতাংশ সম্পত্তি মসজিদের নামে ওয়াপো করে এবং যাহার নামজারি খারিজ ও করে ফেলে। বাকী ২২ শতাংশ সম্পত্তি তারা আত্মসাৎ করার পরিকল্পনা করায় এলাকাবাসীর মাঝে চরম ক্ষোভ বিরাজমান।
তারা সাংবাদিকদের জানায় ১৯৩৩ সালে জাহাঙ্গীর আলমের দাদা জিয়া গাজী মিজি বাড়ির মৃত আবদুল কাদের মিয়াজি ৩৫ শতাংশ সম্পত্তি রেজিষ্ট্রেশন করে ও ২২ শতাংশ মৌখিক ভাবে মসজিদের জন্য দান করে। যাহাতে পরে এলাকাবাসী একটি জামে মসজিদ নির্মান করে। সে থেকে এ পর্যন্ত মসজিদ ও মসজিদের আয়ত্তে ঐ সম্পত্তি রয়েছে যাহা আর,এস খতিয়ানে মসজিদের নামে রেকর্ডও হয়। সম্প্রতি মহসিন ও জাহাঙ্গীর ২২ শতাংশ সম্পত্তি প্রতারণা করে মসজিদ থেকে নাম বাদ দেওয়ার জন্য উঠেপড়ে লেগেছে।
তাই এলাকাবাসী ও মসজিদ কমিটির লোকজন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন বাকী ২২ শতাংশ সম্পত্তিও মসজিদের প্রয়োজনে ওয়াপো খতিয়ানের অন্তর্ভুক্ত করার জন্য।
অভিযুক্ত মহসিন ও জাহাঙ্গীর জানান,মৃত আবদুল কাদের মিয়াজি ৩৫ শতাংশ সম্পত্তিই মসজিদের জন্য দান করেন যাহা তিনি নিজেই রেজিস্ট্রার করে দেন বাকী যে ২২ সম্পত্তি কথা বলা হয় তাহা কখনও তিনি মসজিদে দান করেন নাই। তিনি যদি ৫৭ শতাংশ দান করতেন ৩৫ রেজিস্ট্রার করতে পারলেন বাকীটাও করতে পারতেন।
তারা আরো জানান,আবদুল কাদের মৃত্যুর পর যখন মসজিদ কমিটি লোকজন আমদের সম্পত্তি দখল করে তখন থেকেই আমাদের সাথে দন্ধ ও মামলা চলে আসছে। মামলায় রায়ে সম্পত্তি আমরই পেয়েছি। তারপরও এলাকার কিছু কুচক্রী মহল এ ষড়যন্ত্রে লিপ্ত।
মসজিদে তো আর কহারো সম্পত্তি জোরজবরদস্তি নেওয়ার একতেয়ার নাই।
No comments:
Post a Comment