দু’দফা বন্যায় লক্ষ্মীপুর জেলার বিভিন্ন সড়কে খানা-খন্দ ও ব্যাপক ভাঙ্গন দেখা দেওয়ায় যানবাহন চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। এতে চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন উপজেলার সাধারণ মানুষ ও ব্যবসায়ীরা। অনেকে জরুরি প্রয়োজনে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে জেলা শহরে আসা যাওয়া করছেন। মেঘনার অস্বাভাবিক জোয়ারে রামগতির ও কমলনগর এলাকায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
সদর উপজেলার লক্ষ্মীপুর-মজুচৌধুরীর হাট মহাসড়ক, বটতলী-দত্তপাড়া সড়ক। কমলনগরের মতিরহাট-তোরাবগঞ্জ সড়ক, লুধূয়া-হাজিরহাট সড়ক এবং লরেঞ্চ-নবীগঞ্জ সড়ক। রামগতির আশ্রম-জনতা বাজার সড়ক, মুন্সিরহাট-জনতা বাজার সড়ক ও চরসেকান্দর- মুন্সিরহাট সড়ক বেশী ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়া প্রায় প্রতিটি কাচাঁ-পাকা সড়কই কম বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্থ সড়ক গুলোতে আপাতত ইট ও বালির বস্তা দিয়ে সাময়িক ভাবে যানবাহন চলাচলের সাময়িক ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
লক্ষ্মীপুর স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) সহকারী প্রকৌশলী মোঃ মোশারফ হোসেন জানান, লক্ষ্মীপুর জেলার এলজিইডি’র অধীনে থাকা প্রায় সাড়ে ৯৫ কিলোমিটার সড়ক এবং প্রায় ৫২টি ব্রীজ/কালভাট বন্যার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। টাকার অংকে আনুমানিক ক্ষতি হয়েছে প্রায় ৯১১কোটি টাকা।
লক্ষ্মীপুর সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মোঃ আলাউদ্দিন জানান, সড়ক ও জনপথ বিভাগের ২৬২ কিলোমিটার সড়কের মধ্যে ১৫০ কিলোমিটার সড়ক কম বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর মধ্যে লক্ষ্মীপুর-মজুচৌধুরীর হাট মহাসড়ক ও রামগতি চর আলেকজেন্ডার সড়কের মালী বাড়ির দর্জা নামকস্থানে সড়কের ১২তম কিলোমিটার সবচাইতে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।
লক্ষ্মীপুর স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) নির্বাহী প্রকৌশলী এ কে এম বশির আহম্মেদ বলেন, দু’দফা বন্যায় সড়কের ক্ষতি হয়েছে। কিছু কিছু রাস্তায় জরুরী ভিত্তিতে মোবাইল মেন্টেনেন্স হতে ব্যাটস ফিলিং ও বস্তা দিয়ে চলাচলের উপযোগী রাখা হয়েছে। তাছাড়া ক্ষয়-ক্ষতির পরিমান নিরুপন করে সংস্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে, বরাদ্ধ পাওয়া সাপেক্ষে দ্রুত সড়ক গুলো মেরামত করা হবে।
No comments:
Post a Comment