নিউজ ডেস্কঃ
শায়েস্তাগঞ্জের ওসির রোষানলে পড়ে একটি পরিবার এখন পালিয়ে বেড়াচ্ছে
একের পর এক মামলা দিচ্ছেন ওসি মোজাম্মেল
হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ থানার ওসি মোজাম্মেল হোসেনের নির্মম নির্যাতন ও পরিবারের সকল সদস্যের বিরুদ্ধে বিভিন্ন জেলায় মিথ্যা মামলা দেয়ার প্রতিবাদে সাংবাদিক সম্মেলন করেছে দুই বোন। গতকাল শুক্রবার সকাল ১০টায় বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোটার্স কার্যালয়ে আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে লিখিত অভিযোগে দুই বোন নাঈমা আক্তার ও সাঈমা আক্তার জানান, ওসি মোজাম্মেলের সাথে তার বাবা হাজী নাসির উদ্দিন মিয়ার পরিচয় হয় ২০১৫ সালের আগে। তখন মোজাম্মেল এসআই পদে অত্র থানায় কর্মরত ছিলেন। সে সময় মোজাম্মেল তাদের খালাকে বিয়ে করার পস্তাব দেয়। এর আগে মোজাম্মেল দুই কাজের বুয়া বিলকিস ও জাহানারার সাথে অনৈতিক ও শারীরিক সম্পর্ক ছিল। আগে থেকেই মোজাম্মেল নানা অপরাধের সাথেও জড়িত বিধায় তাদের খালাকে মোজাম্মেলের সাথে বিয়ে দিতে পরিবারের সদস্যরা অনীহা প্রকাশ করে। নাঈমা আক্তার জানান, তার খালাকে মোজাম্মেলের সাথে তার বাবা বিয়ে না দেয়ার কারণে একের পর এক মিথ্যা মামলা দিতে থাকেন বিভিন্ন জেলায়। মামলাগুলো হলো ভৈরব থানার মামলা নং-২৪, তাং-১২/১১/২০১৫, চট্টগ্রামের ডাবল মুরিং থানার মামলা নং-৩০, তাং- ২৫/১০/২০১৫, ঢাকার পল্টন থানার মামলা নং-৭ তাং-২/১২/২০১৫, কুমিল্লার কোতোয়ালি থানার মামলা নং-৯৫, তাং-২৩/৪/২০১৭ ও বি-বাড়ীয়া সি আর মামলা নং-৪১৭/২০১৫, এর মধ্যে কিশোরগঞ্জের ভৈরব থানার মামলায় তার বাবা নাছির উদ্দিনের ৩ বছর সাজা হয়। একের পর এক মামলা হওয়ার কারণে তার বাবা ও মা বাড়ি ছাড়া। নাঈমা আরো জানান, ওসি হিসেবে শায়েস্তাগঞ্জ থানায় আসার পর তাদের বাড়িঘর ও রাইস মিল সবকিছু ভাঙচুর করে যাবতীয় মালামাল লুটে নেয়। এর আগে ওসি মোজাম্মেল তার বাবাকে থানায় আটকে রেখে নির্যাতন চালিয়ে সাদা স্ট্যাম্পে সই স্বাক্ষর জোর করে রাখেন। ১৮টি স্ট্যাম্পে সই স্বাক্ষর রেখে তা দিয়ে একের পর এক মামলা দায়ের করছেন। এসব বিষয় ঊর্ধ্বতন পুলিশকে জানানোর পর অবশেষে গত ১৭ সেপ্টেম্বর ওসি মোজাম্মেলকে ক্লোজ করা হয়। বর্তমান ওসির ভয়ে তারা এখন ঢাকার রাজপথে।
No comments:
Post a Comment