গাইবান্ধায় ৫ বছরের শিশু ধর্ষণের অভিযোগে ৯ বছরের শিশু আটক - pratidinkhobor24.com

Breaking

Home Top Ad

Post Top Ad




Saturday 19 September 2020

গাইবান্ধায় ৫ বছরের শিশু ধর্ষণের অভিযোগে ৯ বছরের শিশু আটক


নিউজ ডেস্কঃ
  
মাত্র ৯ বছরের এক শিশু মোরশেদ ব্যাপারী। স্থানীয় আলোক বর্তিকা স্কুলের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্র। সেই শিশু ছাত্রকেই ধর্ষণ মামলার আসামি করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে সাঘাটা উপজেলার ১০ নং বোনারপাড়া ইউনিয়নের দুর্গাপুরের কাচারি পাড়া গ্রামে। মোরশেদের অপরাধ  বাল্যবন্ধু ৫ বছরের এক কন্যা শিশুকে ধর্ষণ! 
এ ঘটনায় শিশুটির বাবা নুরুল ইসলাম বাদী হয়ে সাঘাটা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা করলে পুলিশ অভিযুক্ত কিশোরকে মামলার সাথে সাথে আটক করে বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে গাইবান্ধা আদালতে প্রেরণ করে। এদিন বিকেলে আদালত শিশুটিকে জেল হাজতে প্রেরণ না করে যশোরের নিরাপদ হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। 

ধর্ষণের শিকার মেয়ে শিশুটি ও অভিযুক্ত শিশু মোরশেদ একই এলাকার এবং নিকট আত্নীয় বলে জানা গেছে। 

মামলার এজাহার সুত্রে জানা যায়, গত ১২ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার দুপুরে মেয়ে শিশুটি বাড়ির পাশে খেলা করছিল। এ সময় দুর্গাপুর গ্রামের খাদেমুল ইসলামের ছেলে খোরশেদ আলম (৯) দুপুরের দিকে শুভ, নিহাতসহ ওই শিশুটির সঙ্গে খেলাধুলা করতে পার্শ্ববর্তী কাচারির দিক যায়। হটাৎ বৃষ্টি এলে কেউ কাচারিতে আবার ওই দুই শিশু মোরশেদ এবং ভুক্তভোগী শিশু গাটু নামক এক লোকের আধাপাকা বাড়ির সিড়ির নিচে আশ্রয় নেয়। সেখানেই শিশুটিকে মুখ চিপে ধরে মাটিতে ফেলে ধর্ষণ করে মোরশেদ। এ সময় শিশুটির চিৎকারে খোরশেদ পালিয়ে যায় বলেও এজাহারে উল্লেখ করা হয়। এ ঘটনায় সাঘাটা থানায় বৃহস্পতিবার বাদি নুরুল ইসলাম লিখিত  অভিযোগ দিলে সাথে সাথে মামলা দায়ের করা হয় এবং পুলিশ খোরশেদকে তাতক্ষনিকভাবে তার বাড়ি থেকে আটক করে আদালতে পাঠায়। 

খোরশেদ ব্যাপারীর বড় ভাই আব্দুল খালেক বলেন, বিষয়টি সাজানো। সামাজিক ও অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করতে তাদের বিরুদ্ধে এ মামলা দায়ের করা হয়েছে। 

সাঘাটা থানার ওসি মো. বেলাল হোসেন বলেন, এ ঘটনায় সাঘাটা থানায় একটি মামলা দায়ের করা হলে খোরশেদ আলমকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। স্বাস্থ্য পরীক্ষার রিপোর্ট এখনো পাননি এবং ভুক্তভোগী শিশুটি রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি আছে বলেও তিনি জানান।

আসামিপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মঞ্জুর মোর্শেদ বাবু বলেন, বিষয়টি সাজানো এবং হাস্যকর বটে। ৯ বছরের একটি শিশুর কি পরিমাণ যৌনা আকাঙ্খা থাকতে পারে তা সবার জানা। এ ঘটনায় শিশু মোরশেদের কি পরিমাণ মানসিক ক্ষতি সাধিত হবে তা সত্যিই ভাববার বিষয়।  এ ছাড়া ভিকটিমকে স্থানীয় চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান থাকতে  প্রথমে বাড়িতে কেন নেয়া হলো এবং পরে কি এমন কারনে তাকে ডাক্তারি পরীক্ষা না করিয়েই সেই সুদুর রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হল- এ প্রশ্ন থেকেই যায়।

No comments:

Post a Comment

Post Bottom Ad

Pages