রামগঞ্জে আ‘লীগের দু‘গ্রুপের সংঘর্ষে আহত-১০ - pratidinkhobor24.com

Breaking

Home Top Ad

Post Top Ad




Sunday 20 September 2020

রামগঞ্জে আ‘লীগের দু‘গ্রুপের সংঘর্ষে আহত-১০



   নিউজ ডেস্কঃ    

লক্ষ্মীপুরে রামগঞ্জে ইছাপুর ইউপির উপ-নির্বাচনে বর্ধিত সভাকে কেন্দ্র করে শনিবার বিকেলে আওয়ামীলীগের দু‘গ্রুপের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংর্ঘষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় উভয়পক্ষের অন্তত ১০জন আহত এবং ১০টি মোটরসাইকেল ভাংচুর করা হয়। আহতদের রামগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্্র ভর্তি করা হয়েছে।
দলীয় নেতাকর্মীরা জানায়, করোনায় আক্রান্ত হয়ে ইছাপুর ইউপি চেয়ারম্যান সহিদ উল্যাহ মারা গেলে উক্ত ইউপি শুন্য ঘোষনা করে নির্বাচন কমিশনার ২০অক্টোবর নির্বাচনের তফসিল ঘোষনা করে। দলীয় প্রাথী চুড়ান্ত করতে শনিবার বিকেল ৩টায় স্থানীয় ইউপি কার্যালয়ের সামনে বর্ধিত সভা আহবান করে ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ। নিহত সহিদ উল্যাহর স্ত্রী শাহানাজ আক্তার ও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক এসআই ফারুক হোসেন উপ-নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে নিজেরদের নাম ঘোষনা দেন। এ নিয়ে দলীয় নেতাকর্মীরা বিভক্ত হয়ে পড়ে।
বর্ধিত সভায় যাওয়ার জন্য পৌরসভার কার্যালয়ের ভিতরে উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি এডভোকেট সফিক মাহমুদ পিন্টু ও পৌর মেয়র আবুল খায়েরের নেতৃত্বে নেতাকর্মীরা জড়ো হয়। একই সময়ে পৌরসভার সামনের সড়কে ভাদুর ইউনিয়ন আওয়ামলীগের সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান জাহিদুর রহমান ভূইয়ার নেতৃত্বে, যুবলীগ, ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা একই অনুষ্ঠানে যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নেয়। এ নিয়ে দু-পক্ষের মধ্যে কথাকাটাকাটির এক পর্যায়ে ধাওয়া-পাল্টা,ধাওয়া ও সংঘর্ষ বেধে যায়।
এ সময় উভয়পক্ষের অন্তত ১০জন আহত হয়। ভাংচুর করা হয় কয়েকটি মোটরসাইকেল। পরে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। তবে এ ঘটনার জন্য সংসদ সদস্য ড. আনোয়ার হোসেন খাঁনকে দায়ী করে, উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি এডভোকেট সফিক মাহমুদ পিন্টু ও পৌর মেয়র আবুল খায়ের বলেন, এমপির নির্দেশে এ হামলা ও ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে।
অপরদিকে আওয়ামীলীগ নেতা ও ভাদুর ইউপি চেয়ারম্যান জাহিদুর রহমান ভূইয়া, যুবলীগ নেতা সুমন ভূইয়া,ছাত্রলীগ নেতা অপু মালসহ যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা জানান, সফিক মাহমুদ পিন্টু ও মেয়র আবুল খায়েরের নেতৃত্বে অর্তকিত ভাবে তাদের ওপর হামলা চালিয়ে ছাত্রলীগ নেতা সুমনসহ কয়েকজন নেতাকর্মীদের আহত করে উল্টো তাদের দোষারোপ ও এমপিকে জড়ানো হচ্ছে। এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানায়। তারা আরো বলেন,বর্তমান উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি এডভোকেট সফিক মাহমুদ পিন্টু ও পৌর মেয়র আবুল খায়ের দলীয় কোন কর্মসুচিতে অংশ নেয়না। মাঝে মধ্যে দলীয় কার্যালয়ে না গিয়ে পৌরসভায় বসে নেতাকর্মীদের মধ্যে গ্রুপিং ও বিভক্ত সৃষ্টি করায় তাদের কাজ। তাই নেতাকর্মীদের কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।
রামগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন জানান, ইউপির উপ-নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দু-গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া,পাল্টা ধাওয়া ও সংর্ঘষের ঘটনা ঘটেছে। পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রনে রয়েছে বলে দাবী করেন তিনি।

No comments:

Post a Comment

Post Bottom Ad

Pages