লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধিঃ
লক্ষ্মীপুরের পালেরহাট এলাকায় ফরিদ বাহিনীর দফায় দফায় হামলায় ব্যবসায়ীসহ ৫জন আহত হয়েছে। এঘটনায় পুলিশ তিনজনকে আটক করেছে বলে জানা যায়। আহতদের উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। রোববার (২ আগষ্ট) সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত দফায় দফায় হামলার ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন, কাপড় ব্যবসায়ী তাফাজ্জল হোসেন সোহাগ (৪০) ও তার বাবা তোফায়েল আহমদ (৬০), চাচাতো ভাই রাশেদ হোসেন ও মো. গোলাম আজমসহ ৫জন। তারা সবাই পালেরহাট ইউনিয়নের ইয়ারপুর গ্রামের বাসিন্দ।
স্থানীয় ও আহতরা জানায়, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে ঘটনার দিন সকালে পালেরহাট বাজারের কাশেমের চায়ের দোকানে ব্যবসায়ীর সোহাগের ছোট ভাই আরিফের উপর হামলা চালায় স্থানীয় নুর আমিনের ছেলে ও বাহিনীর সদস্য সোহেল। এসময় উভয়ের মাঝে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এর পর বিষয়টি নিয়ে আবার পালেরহাট মধ্যবাজারের রহিমের চায়ের দোকানে হামলা চালিয়ে সোহাগের ভাই আরিফ ও চাচাতো ভাই রাশেদকে আহত করে তারা। এসময় দোকান ভাংচুর করা হয়। খবর পেয়ে দুপুরে পুলিশ ঘটনা স্থলে গেলে যুবদল নেতা ফরিদের উপস্থিতিতেই দেশীয় অস্র নিয়ে আবারও তৃতীয় বার হামলা চালায় বাহিনীর সদস্যরা।
এক পর্যায়ে তারা কাপড় ব্যবসায়ী সোহাগকে রক্তাক্ত জখম করে। এসময় বাঁধা দিতে গেলে সোহাগের বাবা তোফায়েল আহমদসহ ৩জনকে আহত করে সন্ত্রাসীরা। পরে পুলিশ পরিস্থিতি সামাল দিতে তিনজনতে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। এসময় স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন। ঘটনার পর থেকে এলাকায় উত্তেজন বিরাজ করছে। যেকোন সময় ঘটে যেতে পারে রক্তক্ষয় সংঘর্ষের ঘটনা।
হাসপাতালে চিকিৎসাধিন সোহাগ জানান, ছোটভাই আরফিকে মারধর করার বিষয়ে পুলিশের উপস্থিতিতে ফরিদকে জিজ্ঞাস করায় ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে তার বাহিনীর সদস্যরা। এসময় পুলিশকে দোকানে নিয়ে যায় ফরিদ। এর ফাঁকেই আমাদের উপর হামলা শুরু করে বাহিনীর সদস্য আরমান, খোকন, সোহেল, ইমরান, মো. শরীফ, রানা মাসুদ, রাসেল ও হৃদয়সহ ৩০-৪০জন। এঘটনায় বিচার দাবী করেন তিনি।
এদিকে যুবদল নেতা ফরিদ বলেন, আরিফ ছিনতাই মামলার আসামী। জামিনে এসে ফেসবুক স্ট্যাটাসের মাধ্যমে ছোট ভাইদেরকে হুমকি-দমকি দিচ্ছে। এনিয়ে একটু হাতাহাতি হয়েছে। তবে হামলা আরিফের লোকজনই করেছে। আমি এর সাথে জড়িত নই।
এ ব্যাপারে লক্ষ্মীপুর সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আজিজুর রহমান মিয়া বলেন, হামলার ঘটনায় পুশিল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এঘটনায় তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তিনি।
No comments:
Post a Comment