জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে
ভিক্ষুক পূণর্বাসন কর্মসূচির আওতায় রামগঞ্জ উপজেলায় পাইলট প্রকল্প হিসেবে ৩ নং ভাদুর ইউনিয়নকে আজকে ভিক্ষুকমুক্ত ঘোষণা করলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুনতাসীর জাহান।
ভিক্ষুকদের চাহিদানুযায়ী ছাগল,হাঁস- মুরগীসহ পোল্ট্রি ফিড,সেলাই মেশিন,চায়ের দোকানের সকল সরঞ্জাম, শাড়ি,থ্রিপিসসহ অন্যান্য কাপড়, ইত্যাদি পরিবহন খরচসহ দেওয়া হয়।
সেই সাথে বিভিন্ন সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির সাথে তাদেরকে সম্পৃক্ত করা হয়।
লজ্জাজনক পেশা(ভিক্ষাবৃত্তি) ছেড়ে একদিন তাদের অবস্থার পরিবর্তন হবে এই প্রত্যাশা রেখে আজ সোমবার বিকেল ৪টায় রামগঞ্জ উপজেলার ৩ নং ভাদুর ইউনিয়নকে শতভাগ ভিক্ষুক মুক্ত ঘোষণা করেন।
এ সময় রামগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন কতৃক আয়োজিত ৩নং ভাদুর ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মো. জাহিদ হোসেন ভূইয়া।
অনুষ্ঠানে চেয়ারম্যান জাহিদ হোসেন ভূইয়া জানান, ভাদুর ইউনিয়নের ২২ জন ভিক্ষুকদের নামের তালিকা তৈরি করা হয়। পরে বেশ কয়েকদিন ধরে চৌকিদার ও ইউপি মেম্বারগণ তাদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে তথ্য সংগ্রহ করেন। পরে তাদের দেওয়া তথ্যে কাউকে হাঁস-মুরগি, কাউকে দুইটা করে ছাগল, মহিলাদের সেলাই মিশিন, কাউকে কাপড়ের ব্যবসা,কাউকে চা দোকানের সকল সরঞ্জাম,নগদ অর্থ সহায়তা এবং কাউকে বিধবা ভাতা দিয়ে ওই ইউনিয়নকে ভিক্ষুকমুক্ত ঘোষণা করা হয়।
অনুষ্ঠানে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুনতাসীর জাহান বলেন, ধারাবাহিক ভাবে উপজেলার সকল ইউনিয়নকে
পর্যায়ক্রমে এই ইউনিয়নের মতো ভিক্ষুক মুক্ত করা হবে।
এসময় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুনতাসীর জাহান ,উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মেঃ আনোয়ার হোসেন,আ,লীগ নেতা মামুনুর রশীদ, বিল্লাল হোসেন, ওই ইউনিয়নের ২২ জন ভিক্ষুক, ইউপি সদস্যগন প্রমুখ।
No comments:
Post a Comment