লক্ষীপুরের রামগঞ্জ উপজেলার আথাকরা গ্রামের হাসিম ভূইঁয়া বাড়িতে নবজাতক পুত্রকে সুকৌশলে হত্যা করে ঘটনাটি ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার পাঁয়তারা করছেন বলেই অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার রাত সাড়ে ১২ টায় পুলিশ নবজাতক সাইমুন মোবারক(৩)মাস লাশ উদ্বার করে জেলামর্গে প্রেরণ করেন।
সূত্রে জানান,শুক্রবার ( ২৪ জুলাই ) বিকেলে নবজাতকের পিতা বিয়ে পাগল ওমর ফারুক ঢাকা থেকে শশুরালয় আসেন। স্যানেটাইজার বোতলের মতই ওষধ নবজাতকের মুখে মেখে দেন। তখন থেকে নবজাতক কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। ঘটনাটি আভাস পেয়ে পাষান্ড পিতা শশুর বাড়ি থেকে না বলেই মুঠোফোন বন্ধ করে পালিয়ে যান। রাত দুইটা ৫০ মিনিটে নবজাতক মৃ্ত্যু হয়। সকালে পাষান্ড পিতা ঘটনাটি ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার পায়তারা থানায় শশুর ও স্ত্রীর বিরুদ্ধে নালিশ করেন।
পাষান্ড পিতা ওমর ফারুক চাটখিল উপজেলার মনোহরপুর গ্রামের পাটোয়ারী বাড়ির আহসান উল্যাহর অবাধ্য সন্তান। বর্তমানে ঢাকা রুপগঞ্জে বসবাস করেন।
ওমর ফারুকের মামার বাড়ি ভাটরা মাইজপাড়া শেখের বাড়ি। মামার পরিচয় তিনি রামগঞ্জে সুকৌশলে দুইটি বিয়ে করেন। তার বিরুদ্ধে লক্ষ্মীপুর কোর্টে যৌতুকের মামলা রয়েছে।
নবজাতকের মা আছমা আক্তার সহ তার স্বজনেরা জানান ওমর ফারুক একজন নারী-লোভী, ভন্ড ও প্রতারক। তিনি লক্ষ্মীপুর যৌতুকের মামলায় জামিন পেয়ে আমাকে দেড় বছর আগে বিয়ে করেন। আমাকে বিয়ে করার আগে তার বিয়ে গুলো গোপন রাখেন।
বিয়ের পরেই জানতে পারেন ফারুক গার্মেন্টস ফ্যাক্টরিতে চাকুরি করলেও মূলত তিনি তার এলাকা ডাকাত ও মাদক ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচয়। যৌতুকের জন্য গভীররাতে মাদকাসক্ত অবস্থা তাকে নির্যাতণ করতেন। তিনি আমাকে ছাড়াও ঢাকায় দুইটি,ভাটরা একটি বিয়ে করেন। আরো বিয়ে করার পাঁয়তারা আমার গর্ভে সন্তানের কথা শুনে আমাকে মারধর করে গত ৮সাস আগে বাবার বাড়িতে পাঠিয়ে দেন। বাপের বাড়িতে আসার পর আমার সাথে যোগাযোগ বিছিন্ন করেন। সন্তান জম্মের ৩মাস পরেই গতকাল শুক্রবার পরিকল্পিতভাবে আমার সন্তানকে হত্যা করে আমাকে পাষানোর চেষ্টা করে। আছমার বাবা আব্দুল মতিন জানান ফারুক প্রতারণা করে আমার মেয়েকে বিয়ে করে আমাদের জীবনের সবগুলো অর্জন তছনছ করছেন। ইউপি মেম্বার মোহাম্মদ হোসেন বলেন তার আগের একজন স্ত্রী দায়ের করা মামলায় জামিন পেয়ে পরবর্তিতে এ বিয়ে করেন। মামলাকে তোয়াক্কা না করেই বিয়ে করে। এভাবে নরপশুমত কাজ মেনে নেওয়া যায় না।
ওমর ফারুক জানান স্ত্রীকে নিয়ে শুক্রবার বিকেলে ঢাকা যেতে ছেয়েছি। স্ত্রী আছমার প্রতি অসন্তোষ হয়ে রাত ৮টার পরেই স্বজনদের বাড়িতে রাত যাপন করেছি।
থানা অফিসার ইনচার্জ ওসি মোহাম্মদ আনোার হোসেন জানান ময়নাতদন্ত রির্পোট পেয়ে তদন্ত সাপেক্ষে অপরাধীকে আইনের আওতাধীন আনা হবে।
সংবাদটি শেয়ার করুন:
No comments:
Post a Comment