রামগঞ্জ প্রতিনিধি : হত্যাকান্ডের দীর্ঘ ৮ বছর পলাতক থাকার পর হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত গিয়াস উদ্দিন (৫০) নামের এক ব্যাক্তিকে আটক করেছে রামগঞ্জ থানার ওসি মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেনে নির্দেশনায় থানা পুলিশের এস আই মহসিন চৌধুরী, এস আই সোহরাব হোসেন,এ এস আই মাসুম রানা ও এ এস আই রিপন দে এর পূর্বে ২০১৯ইং সনের ডিসেম্বর মাসে লক্ষ্মীপুর জেলা জজ আদালত আটককৃত ব্যাক্তিকে যাবজ্জীবন সাজা প্রদান করেন।
আজ সোমবার দুপুর দেড়টায় রামগঞ্জ থানা পুলিশ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে চাটখিল থানা পুলিশের সহযোগীতায় চাটখিল বাস টার্মিনাল এলাকা থেকে গিয়াস উদ্দিনকে আটক করতে সক্ষম হয়।
রামগঞ্জ থানা সুত্রে জানাযায়, ২০১২ইং সনের আগষ্ট মাসে, পূর্ব বিরোধের জের ধরে উপজেলার নোয়াগাঁও ইউনিয়নের উদনপাড়া গ্রামের গুনার বাড়ীর হাজী আবদুর রশিদ (৫৫)কে দারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে মারাত্মক জখম করে একই বাড়ীর মৃত কাদর আলীর ছেলে গিয়াস উদ্দিন। চারদিন পর হসপিটালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আবদুর রশিদের মৃত্যু হয়।
ঘটনার পরদিন হাজী আবদুর রশিদের ছোট ভাই ছিদ্দিক মিয়া বাদী হয়ে রামগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। হত্যাকান্ডের পর থেকে আত্মগোপনে চলে যায় হত্যাকারী গিয়াস উদ্দিন।
হত্যাকান্ডের দীর্ঘ দিন পর ২০১৯ইং সনের ডিসেম্বর মাসে গিয়াস উদ্দিনের অনুপস্থিতে লক্ষ্মীপুর জেলা জজ আদালতের বিচারক স্বাক্ষ্য প্রমানের ভিত্তিতে গিয়াস উদ্দিনকে যাবজ্জীবন সাজা প্রদান করেন।
রামগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন জানান, দীর্ঘদিন পর্যন্ত আবদুর রশিদের হত্যাকারী গিয়াস উদ্দিন আত্মগোপনে থাকায় তাকে আটক করা সম্ভব হয়নি। পরবর্তিতে আমরা গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারি গিয়াস উদ্দিন রামগঞ্জ ও চট্টগ্রামের নীলাচল পরিবহনের চালক হিসাবে কর্মরত রয়েছেন। কিন্তু সে রামগঞ্জ সীমানায় আসার পর গাড়ী থেকে নেমে গিয়ে অন্য চালককে দিয়ে গাড়ী রামগঞ্জে পাঠাতো। বহু কৌশলে আমরা তাকে আটক করে আজ বিকালে তাকে জেলা কারাগারে প্রেরণ করি।
No comments:
Post a Comment