অনলাইন ডেস্ক ঃ
মায়ের দুধ খাচ্ছে, আবার নিজেও দুধ দিচ্ছে। এমনই একটি ছয় মাস বয়সী বাচ্চা গরুর সন্ধান মিলেছে ঝিনাইদহ কালীগঞ্জ উপজেলার মহাদেবপুর গ্রামে। বাচ্চাটির নাম দেওয়া হয়েছে সরস্বতী। গরুর মালিক প্রতিদিন মা গরুটি থেকে ৩ কেজি আর বাচ্চাটি থেকে ৩০০ গ্রাম করে দুধ পাচ্ছেন।
গত এক মাস এই দুধ পাওয়া যাচ্ছে। গরুর মালিক কনজ বিশ্বাসের দাবি, বাচ্চাটির শরীর থেকে ঠিকমতো দুধ বের করলে আরও বেশি দুধ পাওয়া যেত। কিন্তু শরীরের কথা চিন্তা করে কম করে দুধ বের করা হয়। আবার এটুকু না বের করলে মাটিতে ফোঁটা ফোঁটা ঝরে পড়ে। তিনি বলেন, বাচ্চাটির দুধ তাঁরা খেয়েছেন, এখন পার্শ্ববর্তী একটি মন্দিরে পূজার জন্য দিচ্ছেন।
অনেকে এই দুধ নিতে তাঁর বাড়িতে ভিড় করছেন। রবিবার সকালে কনজ বিশ্বাসের স্ত্রী মৈত্রী বিশ্বাসকে বাচ্চা গরুটি থেকে দুধ বের করতে দেখা গেছে। এ সময় বাচ্চাটি তার মায়ের বুক থেকে দুধ পান করছিল। ৩০০ গ্রামের মতো দুধ বের হওয়ার পর দুধ বের করা বন্ধ করে দেন মৈত্রী বিশ্বাস। তিনি বলেন, ‘এখনো বাচ্চাটির শরীরে দুধ রয়েছে। কিন্তু তার শরীরের কথা চিন্তা করে আর দুধ নিচ্ছি না।’ কনজ বিশ্বাস জানান, তাঁরা নিজেদের দুধ খাওয়ার জন্য একটি গাভি লালন-পালন করেন।
তিন বছর হয়েছে গাভিটির একটি বাচ্চা হয়, যার নাম রাখেন গঙ্গা। এরপর গত বছরের ৯ ডিসেম্বর গাভিটি আরেকটি বাচ্চা দেয়। এটির নাম রাখেন সরস্বতী। তিনি বলেন, গত এক মাস হলো হঠাৎ বাচ্চাটি থেকে দুধ বের হতে শুরু করে। মাঝেমধ্যে দুধ মাটিতে পড়ে যায়। এ অবস্থায় একদিন বাচ্চাটি দুধ বের করার চেষ্টা করে দেখা যায়, ৩০০ গ্রামের বেশি দুধ এসেছে।
বিষয়টি প্রতিবেশীদের জানালে তাঁরা চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে বলেন। এরপর তিনি একজন পশু চিকিৎসকের কাছে যান। তিনি এটাকে ওষুধের মাধ্যমে শুকিয়ে ফেলার পরামর্শ দেন। কিন্তু গ্রামের লোকজন এর বিপক্ষে গিয়ে বাচ্চার শরীর থেকে বের হওয়া দুধ মন্দিরে দেওয়ার পরামর্শ দেন। প্রথম কয়েক দিন বাচ্চার দুধ তাঁরা খেয়েছেন। এখন মন্দিরে দিচ্ছেন। কালীগঞ্জ উপজেলার প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা এ এস এম আতিকুজ্জামান বলেন, এ–জাতীয় ঘটনা খুবই কম শোনা যায়। তবে হরমোনজনিত সমস্যার কারণে অনেক সময় এটা হতে পারে। এ নিয়ে ভয় পাওয়ার কোনো কারণ নেই। অল্প দিনেই এটা বন্ধ হয়ে যাবে।
No comments:
Post a Comment