রামগঞ্জ উপজেলার আশারকোটা গ্রামে রোববার ভোর রাতে পাষন্ড স্বামী,দেবর,বাসুর যৌতুকের টাকা না পেয়ে গৃহবধু শার্মিন আক্তারকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করেছে। মুমুর্ষ অবস্থা গৃহবধুকে গ্রামবাসী উদ্ধার করে রামগঞ্জ সরকারী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ব্যাপারে ৫ জনকে আসামী করে থানা এজাহার দায়ের করা হয়েছে।
সুত্রে জানায়,উপজেলার আশারকোটা গ্রামের কোয়াজি বাড়ির ইউনুসের পুত্র মাসুদ হোসের সাথে পার্শ্ববর্তি সোনাইমুড়ি উপজেলার মটুরি গ্রামের কলিম উল্যাহর মেয়ে শার্মিন আক্তারের ২০০৭ সালে বিয়ে হয়। বিয়ের পর শার্মিনের পরিবার মাসুদ হোসেনকে ট্রাক ক্রয় করতে ৪ লক্ষ টাকা প্রদান করে। ২০১৭ সালের দিকে মাসুদ আরো ৫ লক্ষ টাকা দাবী করে স্ত্রীকে নানা ভাবে চাপে সৃষ্টি করে। বেধে দেওয়ায় সময়ের মধ্যে টাকা না দেওয়ায় মাসুদ ৫ মাস পুর্বে শাহরাস্তি উপজেলার কেশরাঙ্গা পাটোয়ারীর মুকবুল হোসেনের মেয়ে রুবি আক্তারকে বিয়ে করে। দ্বিতীয় স্ত্রীকে নিয়ে মাসুদ চট্টগ্রামে বসবাস করতে থাকে। রোববার রাতে মাসুদ হোসেন বাড়িতে উপস্থিত হয়ে বড় ভাই জাকির হোসেন বাচ্চুর বসতঘরে থাকে। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন শার্মিন বলেন, ভোর ৪টার দিকে স্বামী মাসুদ,বাসুর জাকির হোসেন বাচ্চু,দেবর রাশেদ,বাসুর পুত্র রায়হান,শ্বাশুড়ি আম্বিয়া ধারালো চোরা নিয়ে আমার ঘরে প্রবেশ করে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে। এ সময় আমার চিৎকারে লোকজন ছুটে আসলে তারা সবার সামনে দিয়ে চলে যায়। এব্যাপারে বার বার যোগাযোগে চেষ্টা করেও অভিযুক্তদের কাউকে পাওয়া যায়নি। রামগঞ্জ থানার তদন্ত ওসি ( দায়িত্বরত ওসি) মোঃ ফজলুল হক বলেন,কুপিয়ে জখম হওয়ায় গৃহবধুর সাথে তার স্বামী,দেবর,বাসুরদের দীর্ঘ কয়েক মাস যাবত মামলা চলে আসছে। রোববার ভোর ৪টার দিকে ঘটে যাওয়ায় ঘটনায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন গৃহবধু তার ভাইয়ের মাধ্যমে দায়ের করা এজাহার তদন্ত করে আইনানুক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
No comments:
Post a Comment