রামগঞ্জ (লক্ষীপুর) প্রতিনিধি
---
লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলার ২নং নোয়াগাঁও ইউনিয়নের নোয়াগাঁও বাজারের বর্তমানে বেহাল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। সপ্তাহে মঙ্গলবার ও শুক্রবার দুই দিন হাট বসে হাজার হাজার মানুষের মিলন কেন্দ্রে পরিনত হচ্ছে এ বাজার। প্রায় ১০০ বছরের পুরোনো এতিহ্যবাহী এই বাজার নোয়াগাঁও ইউনিয়নের সর্বসাধারনের মিলন কেন্দ্র হলেও বিগত ১৪ বছরে সরকারী কোন উন্নয়ন কর্মকান্ড কারও চোখে পড়েনি।
জানা যায়, ২০০৬ইং সালে তৎকালীন এলজিআরডি প্রতিমন্ত্রী রামগঞ্জে কৃতি সন্তান জিয়াউল হক জিয়া সরকারী ভাবে নোয়াগাঁও বাজারে প্রায় অর্ধকোটি টাকা ব্যয়ে মাছ বাজার,কাঁচা বাজার, ড্রেন, টয়লেট ও গভীর নলকুপ স্থাপন করেন। এর পরে দীর্ঘ ১৪ বছর পার হয়ে গেলেও সরকারী ভাবে কোন উন্নয়ন কাজ না হওয়ায় বর্তমানে বাজার এখন ডাষ্টবিনে পরিনত হয়েছে। এর পরেও বাজারের কিছু অসাধু ব্যবসায়ী স্থানীয় কিছু নামধারী রাজনীতিবিদদের মুষ্টিময় পছন্দের লোকজনদের দিয়ে প্রতিবছর বাজার ইজারার নাম করে ৬গুন পর্যন্ত টাকা বৃদ্ধি করে ঐতিহ্যবাজী এই বাজারটিকে ধংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গেছে। এতে বাজারের ব্যবসায়ী, নোয়াগাঁও গ্রামসহ আশপাশের কয়েক গ্রামের জনসাধারনের মাঝে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
নোয়াগাঁও বাজার কমিটির সাধারন সম্পাদক মো. আনোয়ার হোসেন এবং বিশিষ্ট ব্যবসায়ী বিল্লাল হোসেন জানান, আমরা প্রতিবছর বাজার ইজারার মাধ্যমে সরকারের কোষাগারে লাখ লাখ টাকা জমা হচ্ছে এবং ইউনিয়ন পরিষদ প্রত্যেক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান টেক্স নিচ্ছে। এর বিনিময়ে সরকার কিংবা ইউনিয়ন পরিষদ থেকে কোন উন্নয়ন কর্মককান্ডমূলক কোন বরাদ্ধ দেওয়া হচ্ছে না। এজন্য বাজারের সার্বিক উন্নয়নের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট জোর দাবি জানাচ্ছি।
বাজার কমিটির সভাপতি মো. মোজাম্মেল হোসেন পলাশ জানান, ঐতিহ্যবাহী নোয়াগাঁও বাজারে একটি উচ্চ বিদ্যালয়, একটি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, ২টি ব্যাংক সহ গুরুত্বপূর্ন বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। ১৩সদস্য বিশিষ্ট কমিটিতে আমরা দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকে সমাজসেবক মুনছুর আহম্মেদ এবং সাহিদ হোসেনসহ সাথে নিয়ে সংশ্লিষ্ট সকল দপ্তরে বাজারের উন্নয়নের বিভিন্ন মহলে ধরনা দিয়ে কোন কাজ করতে পারিনি। সম্প্রতি এমপি আনোয়ার হোসেন খান এই বাজারের ইসলামী ব্যাংক উদ্বোধনের সময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকাকালেও বাজারের বিভিন্ন সমস্যা উপস্থাপন করলে উনিও সমাধানে আশ্বাস দিলেও উন্নয়ন কর্মকান্ডের জন্য অদ্যবধি দৃশমান কোন উন্নয়নমূলক বরাদ্ধ পাওয়া যায়নি।
২নং নোয়াগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হোসেন রানা জানান, প্রতি বছরে সরকার থেকে পুরো নোয়াগাঁও ইউনিয়নের ৯টি ওয়ার্ডের জন্য ৩৮ লক্ষ টাকা বরাদ্ধ পেয়ে থাকি। এ কারনে আসলে ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষে বাজারের উন্নয়নের জন্য কোন ফান্ড দেওয়া সম্ভব হয়না। তবে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুদৃষ্টি দিলে বাজারের সার্বিক উন্নয়ন সম্ভব বলে দাবি করেন তিনি।
No comments:
Post a Comment