নিউজ ডেস্ক ঃ
কুষ্টিয়ার দৌলতপুর সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীরা (বিএসএফ) সদস্যরা এক বাংলােদেশি কৃষককে গুলি করে মারার পর তার মরদেহ টানতে টানতে নিজেদের ক্যাম্পে নিয়ে গেছে বলে জানিয়েছে স্থানীয়রা।
মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। নিহত কৃষকের নাম গাজী (৩০)। তিনি সলিমপাড়া গ্রামের নিয়ামত আলীর ছেলে। তবে বিজিবি বলছে, গাজীর মৃত্যুর খবর নিশ্চিত হওয়া যায়নি। গুলিতে গাজী আহত হয়ে বিএসএফের তত্ত্বাবধানে ভারতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
স্থানীয়রা জানান, গাজী, রুবেল, সাহাবুলসহ সলিমপাড়া গ্রামের কয়েকজন কৃষক মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে সীমান্তের বাংলাদেশি ভূখণ্ডে ঘাস কাটতে যান। এ সময় ভারতের জলঙ্গী থানার মুরাদপুর ক্যাম্পের বিএসএফ সদস্যরা তাদের ওপর অতর্কিত গুলি ছুড়লে গাজী গুলিবিদ্ধ হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। এ সময় রুবেলসহ অন্যরা পালিয়ে আসেন। পরে গুলিবিদ্ধ গাজীকে নিজ ক্যাম্পে নিয়ে যায় বিএসএফ সদস্যরা।
গাজীর সঙ্গে ঘাস কাটতে যাওয়া রুবেল জানান, সীমান্তে ঘাস কাটার সময় বিএসএফের গুলিতে গাজী মারা গেছেন। পরে তার মরদেহ টানতে টানতে নিজ ক্যাম্পে নিয়ে যায় বিএসএফ সদস্যরা।
সলিমপাড়া গ্রামের বাসিন্দা কিরণ জানান, গাজী কোন চোরাকারবারীর সঙ্গে জড়িত ছিলেন না। তিনি কৃষি কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করতেন। তাদের সঙ্গে থাকা সাহাবুল নামে আরেক বাংলাদেশি নিখোঁজ রয়েছেন।
বিজিবির ৪৭ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল রফিকুল আলম বলেন, সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি একজনের মারা যাওয়ার কথা লোকমুখে শোনা যাচ্ছে। বিভিন্নভাবে খোঁজ নেয়া হয়েছে। তবে কোন বাংলাদেশির মৃত্যুর খবর নিশ্চিত হওয়া যায়নি। বিএসএফের সঙ্গে কথা হয়েছে। তারা জানিয়েছে, সীমান্তের ওপারে ভারতের অভ্যন্তরে বিএসএফের সঙ্গে চোরাকারবারীদের গুলিবিনিময় হয়। এ সময় বিএসএফের ছোড়া গুলিতে ভারতীয় ৩ চোরাকারবারী মারা গেছেন। সেখানে থাকা এক বাংলাদেশি নাগরিকের পায়ে গুলি লাগলে বিএসএফ সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে চিকিৎসা দিচ্ছেন।
No comments:
Post a Comment