নাগরপুরে চাঞ্চল্যকর বিপ্লব হত্যার রহস্য উদঘাটন-আটক ৩ - pratidinkhobor24.com

Breaking

Home Top Ad

Post Top Ad




Monday 10 February 2020

নাগরপুরে চাঞ্চল্যকর বিপ্লব হত্যার রহস্য উদঘাটন-আটক ৩


মোঃ আব্দুর রাজ্জাক রাজা 
নাগরপুর(টাংগাইল)প্রতিনিধিঃ টাংগাইলের নাগরপুরে চাঞ্চল্যকর বিপ্লব হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে নাগরপুর থানা পুলিশ এবং এক জন আসামি নজরদারিতে রয়েছে। গ্রেফতারকৃতরা হল-ধুবড়িয়া পূর্বপাড়া গ্রামের মজনু মোল্লার ছেলে সাগর(১৯),মৃত মুকুল মিয়ার ছেলে আসাদুল (২২),
শেওরাইল গ্রামের মৃত আজমতের  ছেলে ছানোয়ার হোসেন (৩০)।এর মধ্যে আসামি সাগর বিজ্ঞ টাংগাইল জেলা আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি দিয়েছে। মূলত চারজন এ হত্যাকান্ডে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করে।

উল্লেখ্য,গত ১৬ ডিসেম্বর ২০১৯, উপজেলার  কুষ্টিয়া বিলের পশ্চিম পাড়ের সরিষা ক্ষেতের আইল থেকে ধুবড়িয়া পূর্বপাড়ার উজ্জলের ছেলে বিপ্লবের গলা কাটা লাশ উদ্ধার করে নাগরপুর থানা পুলিশ।এরপর নিহতের পিতা বাদি হয়ে  নাগরপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে।

নাগরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আলম চাঁদ সাংবাদিকদের জানান,এই চাঞ্চল্যকর  ক্লু-লেস বিপ্লব হত্যা মামলাটি পুলিশ শুরু থেকেই খুব গুরুত্ব সহকারে তদন্ত শুরু করে এবং ঘটনার প্রায় ৫৬ দিনের মধ্যে এ হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটনে সক্ষম হয়।মূলত মাদক ব্যবসাকে কেন্দ্র করে এবং পূর্ব শত্রুতার জেরে  এ হত্যাকান্ড সংগঠিত হয়।নিহত বিপ্লব মাদকাসক্ত ও তার পিতা উজ্জল একজন পেশাদার মাদক ব্যবসায়ী ছিল। আসামিরা মাদক কেনার জন্য উজ্জলকে টাকা দিলেও  উজ্জল মাদক দেয় নি। মাদক না পেয়ে আসামিরা  উজ্জলের উপর ক্ষুব্ধ হয় এবং তাকে হত্যা করার পরিকল্পনা করতে থাকে।কিন্তু 
এরইমধ্যে মাদক ব্যবসায়ী উজ্জল গ্রেফতার হয়।এবার আসামিরা প্রতিশোধ নিতে  উজ্জ্বলের ছেলে বিপ্লবকে হত্যা করার পরিকল্পনা করতে থাকে।পরিকল্পনা অনু্যায়ী বিপ্লবকে বাড়ি থেকে লোক মারফত ডেকে আনা হয় এবং কুষ্টিয়া বিলের নিকটবর্তী স্থানে  বিপ্লব ও আসামিরা এক সাথে বসে মাদক সেবন করে।আসামিরা টাকা দিলেও কেন বিপ্লবের পিতা (উজ্জল)তাদের মাদক দেয় নি?-এই বিষয়ে তাদের মধ্যে তর্কাতর্কি শুরু হয়।তর্কাতর্কির এক পর্যায়ে পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী,
আসামি সাগর সর্বপ্রথম বিপ্লবকে ধারালো ছুরি দিয়ে গলায় আঘাত করে।পরে ছানোয়ার,আসাদুল ও মিন্নত উপর্যপুরি আঘাত করে।মৃত্যু নিশ্চিত করার পর আসামীরা বিপ্লবের লাশ বিলের পাশে সরিষা ক্ষেতে ফেলে চলে যায়। হত্যাকান্ডটি ১৬ ডিসেম্বর ২০১৯, রাত ১১ থেকে ১২ টার মধ্যে সংগঠিত হয়। এদিকে হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত ছুরি ও রক্তাক্ত জামা কাপড় উদ্ধার করেছে নাগরপুর থানা পুলিশ। আসামীদের মধ্যে মিন্নত পুলিশের নজরদারিতে রয়েছে বলে জানানো হয়।

সাংবাদিকদের ব্রিফিং এর সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, বিপ্লব হত্যা মামলাটির তদন্তকারী কর্মকর্তা নাগরপুর থানার ওসি(তদন্ত) গোলাম মোস্তফা মন্ডল যার নিরলস প্রচেষ্টায় মামলাটি আলোর মুখ দেখে এবং পুলিশ  আসামীদের গ্রেফতার করতে সক্ষম  হয়।

No comments:

Post a Comment

Post Bottom Ad

Pages