মাইনুদ্দিন আল আতিক, কলাপাড়া থেকেঃ মাত্র দুই দিনের ব্যবধানে কলাপাড়ার ঢাকা-কুয়াকাটা মহাসড়কে আবারও প্রাণ গেলো এক হতভাগ্য পথ যাত্রীর। বাস চালকের বেপরোয়া গাড়ি চালনোর বলি হয়ে টমটম চালক আঃ জলিলের পর এবার চলে যেতে হল এসো (৯) নামের এক রাখাইন কিশোরীর। এ নিয়ে জনমনে দেখা দিয়েছে ব্যাপক ক্ষোভ ও উত্তেজনা। তারা অবিলম্বে নিয়ন্ত্রিতভাবে গাড়ি চলানো এবং সড়কের নিরাপত্তার দাবি জানিয়েছেন।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার মহিপুর ইউনিয়নের ইউসুফপুর মহিলা মাদ্রাসার সামনে পরিবারবর্গের সাথে বেড়াতে যাওয়ার পথে দুর্ঘটনার শিকার হন এসো নামের ওই রাখাইন শিশু। তারা একটি বেটারী চালিত অটো রিকশায় চড়ে যাওয়ার পথে হঠাৎ একটি বিআরটিসি বাস এসে ধাক্কা দিলে রাখাইন শিশুটি অটো থেকে ছিটকে পরে গিয়ে মারাত্মকভাবে আহত হয়। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে কলাপাড়া হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ওই দুর্ঘটনায় রাখাইন পরিবারের আরও দুইজন সদস্য আহত হয়েছেন।
এর মাত্র দুই দিন আগে দুর্ঘটনাস্থল থেকে মাত্র আধা কিলোমিটার দূরত্বে ঈগল পরিবহনের একটি বাসের ধাক্কায় টমটম থেকে ছিটকে গিয়ে নির্মমভাবে প্রাণ হারান টমটম চালক আঃ জলিল (৫০) এবং আহত হন আরও একজন। এনিয়ে এলাকাবাসীর মধ্যে দেখা দিয়েছে চরম উত্তেজনা। তারা অবিলম্বে নিয়ন্ত্রিতভাবে গাড়ি চালানো নিশ্চিত করাসহ সড়কের নিরাপত্তা ফিরিয়ে আনতে সরকারের কাছে জোড় দাবি জানিয়েছেন।
সাবেক ইউপি সদস্য হানিফ ঢ়াড়ী বলেন, 'ঢাকা-কুয়াকাটা মহাসড়কের বাস চালকেরা রাস্তার পথচারীদের ছাগলের মতোও মনে করে না। তাদের যত্রতত্র গাড়ি চালানোর ফলে প্রতি নিয়ত দুর্ঘটনা বেড়েই চলছে।'
মোঃ নূরুল ইসলাম আকন জানান, বাস চালকরা যখন বাস চালান তখন মনে হয় তারা কিছুই পরোয়া করেন না।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক অটো চালক বলেন, 'বেশিরভাগ বাস চালকেরই রয়েছে মাদক ও নারীর নেশা। তারা যখন কলাপাড়া অতিক্রম করে কুয়াকাটার কাছাকাছি আসে তখন তাদের এ নেশা আরও বেড়ে যায় এবং হিতাহীত জ্ঞান হারিয়ে ফেলে।'
ঈগল পরিবহনের ঘাতক বাসের একজন যাত্রী জানান, বাসটি যখন দুর্ঘটনা ঘটায় তখন চালকের পরিবর্তে হেলপার গাড়িটি চালাচ্ছিলো।
No comments:
Post a Comment