টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে সাংবাদিকদের উপড় হামলার মূল হোতা ফজল মন্ডল গ্রেফতার - pratidinkhobor24.com

Breaking

Home Top Ad

Post Top Ad




Thursday 9 January 2020

টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে সাংবাদিকদের উপড় হামলার মূল হোতা ফজল মন্ডল গ্রেফতার



মো: আ: হামিদ টাঙ্গাইল:

টঙ্গাইলের ভূঞাপুরে সাংবাদিকদের উপর হামলার মূলহোতা ও জুয়ার আসর পরিচালনাকারী সেই ফজল মন্ডলকে অবশেষে গ্রেফতার করেছে থানা পুলিশ। বুধবার (০৮ জানুয়ারি) মধ্যরাতে তথ্য প্রযুক্তির সাহায্যে গাজীপুরের কোনাবাড়ি এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।


গ্রেফতারকৃত ফজল মন্ডল উপজেলার গোবিন্দাসী এলাকার মৃত আব্দুল কাশেমের ছেলে। তিনি গোবিন্দাসী ইউনিয়ন ট্রাক শ্রমিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা।

এদিকে টাঙ্গাইলের সদর উপজেলার বাসাখানপুর এলাকা থেকে হামলাকারী জুয়াড়ি নিরুতপ্পল সাহার ছেলে অমিত সাহাকে গ্রেফতার করেছে টাঙ্গাইল থানা পুলিশ।

ভূঞাপুর থানার অফিসার ওসি মো: রাশিদুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, সাংবাদিকদের উপর হামলার পর থেকেই ফজল মন্ডলকে গ্রেফতারে পুলিশ অভিযান অব্যাহত রেখেছিল। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ এড়াতে বিভিন্ন পন্থায় দেশের বিভিন্ন পান্তে আশ্রয় নিয়েছিল। অবশেষে তথ্য প্রযুক্তির সাহায্য নিয়ে গতকাল রাতে পুলিশের একটি দল তাকে গাজীপুরের কোনাবাড়ি থেকে গ্রেফতারে সক্ষম হন। তিনি আরোও জানান,সকালে তাকে ৭দিনের রিমান্ড চেয়ে টাঙ্গাইল আদালতে পাঠানো হয়েছে।

উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার (০২ জানুয়ারি) টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরের গোবিন্দাসী ঘাট সংলগ্ন কাঁশবন এলাকায় জুয়ার আসরের সচিত্র সংবাদ সংগ্রহে গিয়ে সাংবাদিকদের উপর হামলা চালায় জুয়াড়িরা। হামলায় ডিবিসি টেলিভিশনের টাঙ্গাইল প্রতিনিধি সোহেল তালুকদার, ক্যামেরা পারর্সন আশিকুর রহমান, দৈনিক ইত্তেফাকের সাংবাদিক অভিজিৎ ঘোষসহ ৬ জন আহত হয়। এসময় ডিবিসির একটি ক্যামেরা ভাঙচুর এবং অপর একটি ক্যামেরা ছিনিয়ে নেয়। এছাড়া ডিবিসির বুম (মাইক্রোফোন) ভাঙচুর করা হয়।

এ ঘটনায় সেই রাতেই ডিবিসির টাঙ্গাইল প্রতিনিধি সোহেল তালুকদার বাদী হয়ে জুয়াড়ি– প্রধান ফজল মন্ডলকে প্রধান আসামী করে ৮জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত শতাধিক জুয়াড়ির বিরুদ্ধে ভূঞাপুর থানায় মামলা দায়ের করেছেন। পরে অভিযান চালিয়ে এজাহারভুক্ত ৪ আসামিকে গ্রেফতার করে পুলিশ। কিন্তু ঘটনার পর থেকে ফজল মন্ডল পলাতক ছিলেন। তাকে গ্রেফতারের দাবিতে ভূঞাপুরসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সাংবাদিকরা কর্মসূচি পালন করে আসছিলেন।

No comments:

Post a Comment

Post Bottom Ad

Pages