মোঃ ইমরান হোসনে (আপন)
চৌহালী (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি
রাক্ষসি যমুনা সিরাজগঞ্জ জেলার চৌহালী উপজেলাকে বারবার আঘাত হানছে । যমুনার ভাঙনে চৌহালীর ইতিহাস-ঐতিহ্য নদী গর্ভে হারিয়ে যেতে বসেছে । বিত্তবানদের কেউ কেউ এলাকা ছেড়ে অন্যত্র বাসা বাঁধলেও এখনও হাজারো মানুষ আঁকড়ে ধরে আছে চৌহারীকে।
সর্বশেষ ২০১৩ সালে খাস কাউলিয়া মৌজার (শিবির নামক¯’ানে) গ্রামে সাজানো গোছানো পরিপাটিতে উপজেলা পরিষদের সুদৃশ্য কমপ্লেক্সটি যমুনায় বিলিন হয়ে যায় । এখানে উপজেলা কমপ্লেক্স ঘিরে ছিল নানা ধরনের চিত্র-বিচিত্র। এখানে ছিল হাসপাতাল , ছিল সরকারি দপ্তরের সকল অফিস, থানা,সাবরেজিষ্টার, পুকুর, বাজার, হেলিমেট, রাস্তা-ঘাট,পশু হাসপাতাল,বি এম কলেজ,মহিলা ফাজিল মাদ্রাসা,আদর্শ উ”চ বিদ্যালয়,মডেল সরকারি সপ্রাবি যমুনায় বিলিন হওয়ার পর চৌহালী সরকারি কলেজ জোতপাড়ায় ও আশপাশের তার কার্যক্রম চলছে । এখানেই ঠাঁই মিলেছে উপজেলার পরিষদের সরকারি সব দপ্তর । কলেজের প্রায় সকল কক্ষই এখন পরিষদের দখলে । কলেজের দোতলায় রয়েছে চৌহালী থানা । হাসপাতালটি নেয়া হয়েছে খাস কাউলিয়া আলিয়া মাদরাসায়, আনসার ভিডিপি ও সাব-রেজিষ্ট্রার মডেল সরকারি উ”চ বিদ্যালয়,মৎস্যঅধিদপ্তর কোদালিয়া বাজার । ২০১৩/১৪ অর্থবছরে সকল ¯’াপনা বিলপ্তির পর থেকেই উপজেলা পরিষদের নতুন কমপ্লেক্স ভবন ¯’াপনের জন্যা খাস পুকুরিয়া ইউনিয়নের কোদালিয়ায় ৬ একর জমি অধিগ্রহন করা হলেও পরিষদের কমপ্লেক্স ভবন তৈরীর জন্য এখনও টেন্ডার আহবান করা হয়নি । এব্যাপারে চৌহালী উন্নয়ন কমিটিসহ ভুক্তভোগিরা দাবী জানালেও তা বাস্তবায়নের কোন লক্ষন নেই । দীর্ঘ ৬ বছর পেরিয়ে ৭ বছরে পদার্পন করলেও আজ পর্যন্ত তা আলোর মুখ দেখেনি। ফলে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ভিশন বাস্তবায়ন বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়ে । প্রধানমন্ত্রীর উন্নয়ন ও ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষে উপজেলা বাস্তবায়ন কমিটি এলাকাবাসিকে নিয়ে এখন সো”চার হলেও প্রশাসন নিরব টেন্ডার নিয়ে। তাদের দাবী আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগেই প্রধানমন্ত্রীর দেয়া আশ্বাসের দ্রæতি বাস্তবায়ন ও উন্নয়নের মহাসড়ক সারাদেশের ন্যায় চৌহালী উপজেলাকেও সামিল করা হোক। উপজেলা পরিষদ যমুনায় বিলুপ্তির দির্ঘদিন পেরিয়ে গেলেও নতুন করে কমপ্লেক্স ভবন আলোর মুখ দেখছে না। ফলে পরিষদ ভাসমানের৭বছর,দাপ্তরিক কাজ জিমিয়ে। এতে যমুনার সাথে সংগ্রাম করে বেঁচে থাকা চৌহালী ও এনায়েতপুরের কয়েক লক্ষ মানুষ তাদের নাগরিক সুবিধা ও উন্নয়ন থেকে বঞ্চিত হ”েছ। উপজেলা পরিষদ অফিস কার্যক্রম চৌহালী সরকারি কলেজ টিনসেট ঘর ও ভবনে চলছে । ঘরের চাল ও ভবনের ছাদ ফুটো হওয়ায় পানি চুয়িয়ে পরে। এ কারণে ফাইলপত্র নিয়ে দুর্ভোগ পোহা”েছন কর্মকর্তারা,নতুন ভবনের কোন লক্ষন নজরে পরছে না।
এ ব্যাপারে চৌহালী উপজেলা নির্বাহী অফিসার দেওয়ান মওদুদ আহমেদ জানান, কোদালিয়া মৌজায় ৬ একর জমি ভূমি অধিগ্রহন করা হয়েছে । বাকী কাজগুলোও প্রায় সম্পন্ন, অচিরেই জমিতে ভবন নির্মানের জন্য টেন্ডার আহবান করা হবে । উপজেলা পরিষদের নিজস্ব ভবন না থাকায় কর্মকর্তা-কর্মচারিসহ সেবা নিতে আসা বহু মানুষ এখান সেখানে ঘুরতে গিয়ে নাজেহাল হ”েছন ।
চৌহালী সরকারি কলেজের (ভার)অধ্যক্ষ মো, আব্দুল মান্নান জানান, পরিষদের নিজস্ব ভবন না থাকায় উপজেলার উন্নয়ন ও দপ্তরের কাজ-কর্ম অচলাব¯’ায় না পরেন শত কষ্টের পর কলেজ জায়গা দিয়েছে । উপজেলা পরিষদ ও থানার কার্যক্রম চৌহালী সরকারি কলেজর দোতলা ও নিজতলায় চলছে । এতে শিক্ষার্থীদের পড়া-লেখার ব্যঘাত সৃস্টি হ”েছ । শিক্ষার্থীদের দাবী করে ছাত্র-ছাত্রীদের পাঠদানের জন্য ক্যাম্পাস উমুক্ত করা হোক ।
চৌহালী থানা অফিসার ইনচার্জ রাশেদুল ইসলাম বিশ্বাস জানান, আমরা চৌহালী সরকারী কলেজের ভবনে আশ্রয় নিয়ে থানার কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছি। নিজস্ব কার্যালয় ছাড়া কোনো প্রতিষ্ঠানেরই কাজের সঠিক গতি পাওয়া যায়না তাই উপজেলা পরিষদ নির্মান হলে কাজের যেমন গতি বাড়বে,থানার কার্যক্রম গতিশীল হবে, সেবা পেতে সাধারন মানুষের আর ভোগান্তি পোহাতে হবে না।
উপজেলা হাসপাতালের টিএইচও ডাঃ আব্দুল কাদের বলেন- খাষকাউলিয়া সিদ্দিকীয়া কামিল মাদ্রসার জায়গায় ঘর করে কোনো রকম স্বা¯’ সেবার কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছি, নিজস¦ ভবন না থাকায় ই”ছা থাকা সত্তেও সঠিক সেবা দেওয়া ব্যহত হচ্ছে
No comments:
Post a Comment