রামগঞ্জ প্রতিনিধিঃ পুরো সড়ক জুড়ে ছোট-বড় অসংখ্য গর্ত। ৯০ শতাংশ পিচ ঢালাইয়ের অস্বিত্ব নেই। কোথাও ভেঙ্গে গিয়ে কিংবা দেবে গিয়ে পার্শ্ববর্তী খালে পড়েছে। গাড়ী চলাচল তো দূরের কথা, পায়ে হেঁটে চলাচল করাও দূরুহ হয়ে পড়েছে। এই চিত্র রামগঞ্জ উপজেলার রামগঞ্জ- ডাগ্গাতলী ওয়াপদা সড়কের। ৬ কিলোমিটার এই সড়ক দিয়ে উপজেলার নরিমপুর, চন্ডীপুর, তাহেরপুর, বিষ্ণুভল্লবপুর, দাসপাড়া, মজুপুর, রসুলপুর, ডাগ্গাতলী, লামচর গ্রামের লক্ষাধিক মানুষের যাতায়াত। শুধু এটি নয় উপজেলা আভ্যন্তরীন অনেক সড়কেরই এমন করুন দশা। সড়কের দূর অবস্থার কারনে উপজেলার ১০ ইউনিয়নের ৪ লক্ষাধিক মানুষ প্রতিনিয়ত ভোগান্তি পোহাচ্ছে। এসব সড়কে যাত্রীবাহী বাস ছাড়া অন্যসব যানবাহন চলাচল করে।
জানাগেছে ৬৫.৩৭ বর্গকিলোমিটার আয়তনের এই উপজেলায় এল.জি.ইডি এর আওয়তায় উপজেলার ১০ টি ইউনিয়নে ৩০০ টি পাকা সড়ক রয়েছে। এর মধ্যে অনেক গুরুত্বপূর্ণ সড়ক পিচ ঢালাই উঠে গর্ত হয়ে এখন বেহাল। বর্ষা মৌসুমে কিছু সড়কে ইট বিছিয়ে গর্ত ভরাট করলেও সেগুলো বেশিদিন টেকেনি।
সরেজমিনে ঘুরে উপজেলার আরো কয়েকটি সড়কে বেহাল অবস্থা দেখা গেছে। এর মধ্যে রামগঞ্জ থেকে পানিয়ালা সড়কে ধুলবালির অত্যাচারে চলাচল দায় হয়ে পড়েছে। রামগঞ্জ থেকে চাঙ্গীরগাঁও সড়কটি পিচ ঢালাই উঠে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়া ভাটরা বাউরখাড়া, সড়কটি ভেঙ্গে পার্শ্ববর্তী পুকুরে পড়ে আছে। জয়দেবপুর সড়কটিও পিচ ঢালাই উঠে দেবে গিয়ে পার্শ্ববর্তী পুকুর কিংবা নালায় ভেঙ্গে পড়েছে। এতে করে দূর্ভোগের যেন কমতি নেই এই অঞ্চলের বাসিন্দাদের।
চন্ডীপুর গ্রামের বাসিন্দা নজরুল ইসলাম বলেন, দীর্ঘ সময় ধরে গ্রামের রাস্তাঘাটের উন্নয় হয়নি। খারাপ রাস্তার কারনে যানবাহনের ভাড়া গুনতে হচ্ছে দ্বিগুন। যাতায়াতে অতিরিক্ত সময় ও নষ্ট হয়। এত করে সময় মত শ্রেনিকক্ষে উপস্থিত হতে পারে না এ অঞ্চলের স্কুল-কলেজ গামী ছাত্র-ছাত্রীরা।
চন্ডীপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কামাল হোসেন ভূঁইয়া বলেন, রামগঞ্জ থেকে চাঙ্গীরগাঁও সড়কের পিচ ঢালাই উঠে সৃষ্টি হয়েছে অসংখ্য গর্তের। পথ চলতে গিয়ে প্রতিদিনই কেউ না কেউ দূর্ঘটনার শিকার হচ্ছে।
এব্যাপারে এল জি ইডির উপজেলা সহকারী প্রকৌশলী তোহির উদ্দিন বলেন, ভাঙ্গা সড়ক গুলো সংস্কারের প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
এব্যাপারে জানতে চাইলে লক্ষ্মীপুর -১ রামগঞ্জ আসনের সাংসদ আনোয়ার হোসেন খান বলেন ভাঙ্গাচুরা সড়ক গুলো সংস্কার করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষে সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ করছেন তিনি।
No comments:
Post a Comment