নানা কারণে বিভিন্ন সময় পুলিশকে নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা থাকলেও তা ভুল প্রমাণ করে মানবতার মশাল হাতে নিয়ে অসহায়দের পাশে দাঁড়িয়ে "পুলিশই জনতা- জনতাই পুলিশ" এই কথাটি সত্য প্রমাণ করলেন রামগঞ্জ থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি আনোয়ার হোসেন। তিনি আবারও প্রমাণ করলেন সবার উপরে মানুষ সত্য - তাহার উপরে নাই।
কয়েক বছর থেকে মানসিক অসুস্থ হয়ে ভবঘুরে ঘুরছিলেন উপজেলার ইছাপুর ইউনিয়নের শ্রীরামপুরের শহিদুল্লাহ কখনো বাইপাস সড়কে কখনো চৌরাস্তা কখনোই বা রামগঞ্জ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ও থানা এলাকায় বিভিন্ন সময় ঘুরতে দেখা গেছে তাকে। গত কয়েকদিনের তীব্র শৈত্যপ্রবাহে সে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি করিয়ে দেন রামগঞ্জের মানবিক ওসি।
সূত্রে জানা যায়, অজ্ঞাত কারনে মানসিক অসুস্থ্য হয়ে পড়লে দীর্ঘদিন ভবঘুরে ছিলেন শহিদ উল্যাহ, নিকটাত্মীয়রা বহুবার বাড়ীতে নিয়ে গেলেও আবার ঘর থেকে বের হয়ে চলে যেতেন অজ্ঞাত স্থানে। কয়েক মাস আগে ঘুরতে ঘুরতে চলে যান কুষ্টিয়ায়। আত্মীয়স্বজনরা বিভিন্ন স্থানে খুঁজেও না পেয়ে,
রামগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেনকে অবহিত করেন। রামগঞ্জ থানার ওসি আনোয়ার হোসেন সারাদেশের বিভিন্ন থানায় খোঁজ নেয়া শুরু করলে অবশেষে মাসখানেক পুর্বে পাওয়া যায় শহিদ উল্যাহকে। নিকটাত্মীয়রা শহিদ উল্যাহকে খুঁজে পেলেও সবসময় শহিদ উল্যাহর খাবারসহ খোঁজখবর রাখতেন ওসি।
এদিকে সোমবার সন্ধায় হটাৎ শহিদ উল্যাহ মারাত্মক অসুস্থ্য হয়ে পড়েন। নিকটাত্মীয় কেউ না থাকায় হসপিটাল কর্তৃপক্ষ চিকিৎসা সেবা দিতে অস্বীকৃতি জানালে থানা অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন হাসপাতালে ছুটে গিয়ে ডাক্তার গুনময় পোদ্ধারকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দিতে বলেন।
আজ ৩১ ডিসেম্বর মঙ্গলবার দুপুরে রামগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন হাসপাতালে যান। এ সময় অসুস্থ্য শহিদ উল্যাহর চিকিৎসা ও খাবারসহ যাবতীয় ব্যয়ভার নিজ পকেট থেকে প্রদান করেন তিনি।
এসময় তিনি জানান, একজন ভবঘুরে মানুষ কতটা অসহায়,সেটা শহিদ মিয়াকে দেখলেই বুঝা যায়। শহিদ মিয়া মানসিকভাবে অসুস্থ্য হলেও তিনি একজন মানুষ।
No comments:
Post a Comment