রামগঞ্জ (লক্ষ্মীপুর) প্রতিনিধি ঃ
লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ৮নং করপাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মজিবুল হক মজিবের নির্দেশে পাকা ভবন নির্মাণ কাজ অব্যাহত রেখেছেন । ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার করপাড়া ইউপির আনন্দীপুর গ্রামের এত্তুর বাড়ির মাঈন উদ্দিন ও তার ভাই মোঃ কামাল হোসেন আদালদের নির্দেশ উপেক্ষা করে প্রভাব খাটিয়ে ওই ভবন নির্মান কাজ অব্যাহত রেখেছে। খবর পেয়ে (৭জুলাই) সকালে সড়জমিনে গেলে ঘটনার সত্যতা পাওয়া যায়। স্থানীয় মোহাম্মদীয়া বাজার ফাড়ি থানার সহকারী উপ-পুলিশ পরিদর্শক মোঃ সোহাগ উদ্দিন ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে কোন আইনী ব্যবস্থা না নিয়ে মামলার বাদী সালামত উল্যা ও বিবাদী মোঃ কামাল হোসেন গংদের রাতে ফাড়ি থানায় দেখা করতে বলেন। পুলিশের এমন কর্মকান্ডে করপাড়া ইউনিয়নব্যাপী ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রামগঞ্জ উপজেলাধীন ৮৩ নং আনন্দিপুর মৌজার আর,এস ১৪৩ নং খতিয়ান ভূক্ত ৬২৭,৬৫২ দাগের অন্দরে ১৭শতাংশ সম্পত্তি উপর আদালত কোন প্রকার ঘর দরজা বা পাকা ভবন অথবা কোন প্রকার পরিবর্তন করা যাবেনা এমর্মে আদেশ প্রদান করেন।
কিন্তু নিজের মালিকানা দাবি করে ভূক্তভূগী সালামত উল্যা গত ২৪ জুন ২০২১ইং লক্ষ্মীপুর জেলা অতিরিক্ত ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ১৪৪/১৪৫ ধারায় একটি মিছ মামলা দায়ের করে। কিন্তু কামাল হোসেন জোরপূর্বক ভাড়াটিয়া লোকজন নিয়ে আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য ভবন নির্মান করতে গেলে ভূক্তভোগী সালামত উল্যা বাধা প্রদান করলেও কামাল হোসেন গংরার হুমকী-ধমকী দিয়ে প্রভাব খাটিয়ে নির্মান কাজ অব্যাহত রেখেছেন। এদিকে অজ্ঞাত কারনে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কাজ বন্ধ না করে ভবন নির্মান কাজ অব্যাহত রাখতে মৌখিক নির্দেশনা দিয়েছে পুলিশ। এমনটিই জানিয়েছেন ভূক্তভোগী সালামত উল্যা।
মামলার বাদী সালামত উল্যা জানান, কামাল হোসেন প্রভাবশালী হওয়ায় আমাদের সম্পত্তি জোরপূর্বক জবর দখল করে ভবন নির্মাণ অব্যাহত রেখেছে। আদালতে মামলা করার পরে পুলিশ স্থিতিবস্থা জারি না করে উল্টো কামালকে কাজ চালিয়ে নিতে সহযোগীতা করেছে।
এব্যাপারে অভিযুক্ত কামাল হোসেন ও ঠিকাদার আবদুল মোতালেব জানান,চেয়ারম্যান মজিবুল হক মজিব আমাদের কাজ করার নির্দেশ দিয়েছেন। সেই মোতাবেক আমরা নির্মান কাজ চালিয়ে যাচ্ছি।
চেয়ারম্যান মজিবুল হক মজিব জানান, আদালতের মিচ মামলার বাদী সালামত উল্যা কোন সম্পত্তিই পাবেনা। এটা নিয়ে বহুবার শালিষ করে সমযোতার মাধ্যমে নির্মান কাজ করার জন্য অনুমতি দিয়েছি। তবে কোর্টে মামলার বিষয়ে আমি কিছুই জানিনা।
তদন্তকারী কর্মকর্তা মোহাম্মদীয়া বাজার ফাড়ি থানার সহকারী উপ-পুলিশ পরিদর্শক মোঃ সোহাগ উদ্দিন জানান, আদালতের মিচ মামলার দায়িত্ব পেয়ে স্থিতিবস্থা জারি করে বিবাদীকে নোটিশ করা হয়েছে। তবে নির্মান কাজ বন্ধ করার দায়িত্ব পুলিশের নয়।
No comments:
Post a Comment