রামগঞ্জ (লক্ষ্মীপুর) প্রতিনিধি ঃ
লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলা লামচর ইউনিয়নের কালিকাপুর হেতিমপুর ভূঁইয়া বাড়ির প্রবাসী আব্বাস মিয়ার বড় মেয়ে চাচা মমিন উল্যার নির্যাতনের ভয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে আজিমা আক্তার নামের এক কলেজ ছাত্রী। চাচার এমন অনৈতিক কর্মকান্ডে গত ৬মাস থেকে ওই কলেজছাত্রী তার নিজ বাড়িতে যেতে পারছেন না। হুমকী-ধমকীর ভয়ে বর্তমানে আজীমা রামগঞ্জ একটি ভাড়া বাসায় বসবাস করে আসছেন। আজিমা আক্তার রামগঞ্জ সরকারী কলেজের ¯œাতম ১ম বর্ষের ছাত্রী। সৃষ্ট ঘটনায় কলেজছাত্রীর পরিবার পার্শ্ববর্তী মোহাম্মদীয়া বাজার পুলিশ ফাঁড়িতে গেলে কর্তব্যরত ইনচার্জ মোঃ আলমগীর হোসেন কোন অভিযোগ গ্রহন না করে লক্ষ্মীপুর জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট কোর্টে মামলা করার পরামর্শ দেন। ২৩জুন বুধবার সকালে সরজমিনে গেলে ঘটনার ভূক্তভোগী ওই কলেজছাত্রী ও তার পরিবারের লোকজন এসব অভিযোগ করেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার লামচর ইউপির হেতিমপুর ভূঁইয়া বাড়ির প্রবাসী আব্বাস মিয়ার পরিবারের সাথে ও তার সহদর ভাই মমিন উল্যার সাথে সম্পত্তি নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। এরই সূত্রধরে আব্বাস মিয়া প্রবাসে থাকার সুযোগে তার ভাই মমিন নিজ ভাতিজি কলেজছাত্রী আজিমা আক্তারের উপর বিভিন্ন সময় মারধর, এ্যাসিড নিক্ষেপ এবং গুম করে নির্যাতনের হুমকী দেওয়ায় কলেজছাত্রী আজিমা বেশ কয়েকমাস থেকে ভয়ে রামগঞ্জ শহরের একটি ভাড়া বাসা নিয়ে পালিয়ে বসবাস করছেন।
এব্যাপারে কলেজছাত্রী আজীমা ও তার মা জোসনা বেগম বলেন, আমার স্বামী দীর্ঘ ১৮ বছর যাবত বিদেশে আছে। কলেজ পড়ুয়া দুইটি মেয়ে ও ছোট্ট একটি ছেলে নিয়ে সুন্দর ভাবে বসবাস করিতে ছিলাম। গত ১২ জানুয়ারি ২০২১ইং রাতে ১০/১৫ জন মুখোশধারী সাথে নিয়ে সে আমাদের ঘরে ডাকাতি করে প্রায় ১২ ভরী স্বর্ণ নগদ ৩ লক্ষ টাকা ও আলমারি ভেঙে সম্পত্তির সকল কাগজপত্র নিয়ে যায়। পরে আমি বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় পুলিশ পাড়িতে গেলে অভিযোগ গ্রহন না করেকোর্টে মামলা করার পরামর্শ দেন। এর পর থেকেই আমাদের উপর নির্যাতনের মাত্রা বেড়ইে চলছে। আজীমা ও আমার অন্য ছেলে মেয়েরা বাড়িতে প্রবেশ করতে গেলেই মমিন অকথ্য ভাষায় গালমন্দ এবং বিভিন্ন নির্যাতনের হুমকী দেওয়ায় বড় মেয়ে অন্যত্রে পালিয়ে বসবাস করে আসছে।
অভিযুক্ত মমিন উল্যা বলেন, আমার ভাই আব্বাস মিয়া সু-কৌশলে আমার বাবা জীবিত থাকা অবস্থা ৭৫ ভাগ সম্পত্তি আমার ভাই আব্বাস মিয়া তার নামে লিখে নিয়ে যায়। তাই সম্পত্তি নিয়ে দুজনের মধ্যে কিছুটা বিরোধ রয়েছে । তবে বাকী অভিযোগ গুলো সঠিক নয়।
মোহাম্মদিয়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মোঃ আলমগীর হোসেন জানান, বিষয়টি আমি জানিনা। এবিষয় নিয়ে মেয়ে ও তার পরিবারের কেউ থানায়ও আসেনি।
No comments:
Post a Comment